কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি: চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটে ৩৩ বছরের বসবাসরত বসতভিটা দখল নিতে বাঁধা দেওয়ায় দুইজনকে কুপিয়ে রক্তাত্ত জখম ও শ্লীলতাহানির করে একদল দূর্বৃত্তরা।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ভিকটিমের বাড়ীতে পরিকল্পিতভাবে এঘটনা ঘটিয়েছে।
আহতরা হলেন,ডুলাহাজারা(মালুমঘাট) ৩নং ওয়ার্ডের মৌলভীকাটা গ্রামের নুরুল কবিরের মেয়ে রুমা আকতার(১৬) ও পুত্রবধু আয়েশা বেগম(৩০)।
অভিযোগকারী নুরুল কবির
জানান,আমার শালা আলী মদন থেকে ২৫শতক বসতভিটার জায়গা আমি ক্রয় করি।যার খতিয়ান নং-৭৮,দাগ নং-০২।উক্ত জায়গার উপরে আমি ৩৩ বছর যাবৎ ঘরবাড়ী করে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছি।হঠাৎ উক্ত জায়গার উপর লোভে করে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে আমরা যখন কাজে চলে যায়।এমতাবস্হায় পরিকল্পিতভাবে একই এলাকার মৃত নজু মিয়ার পুত্র দূর্বৃত্তদের গডফাদার ভুমিদস্যূ সাইফুল ইসলাম,তার ভাই মকসুদ মিয়া,বোন জামাই মোঃশফি সহ ভাড়াটিয়া আরো ৭/৮জন মাস্তান নিয়ে আমার বাড়ীতে ডুকে আমার কিশোরী মেয়ে ও পুত্রবধুকে বেদড়ক মারধর ও শ্লীতমলতাহানি করে বাড়ীতে বের করে দিতে চাইলে,তারা স্বজোরে চিৎকার করে।তাদের গলাফাঁটা চিৎকার প্রতিবেশী আগাইয়া আসতে-আসতে আমার কিশোরী মেয়েকে জবাই করার চেষ্টা চালাচ্ছে।তা দেখে লোকজন আগাইয়া এসে কোন রকম আমার মেয়েকে ও পুত্রবধু উদ্ধার করে।এর আগে বাড়ীর লাখ টাকার মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর ও আলমিরা ভেঙ্গে নগত কিছু টাকা এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।বর্তমানে আহত আমার মেয়ে রুমা ও পুত্রবধু কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এবিষয়ে আমি মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে ওয়ার্ড মেম্বার শওকত আলীকে ফোন করলে,তিনি বলেন,ঘটনা বিষয়ে আহতদের পিতা নুরুল কবির সহ এলাকার সর্দা ও ওয়ার্ড আ’লীগের সম্পাদক মোঃ ইছহাক এবং প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন,মাদক সেবনকারী, ভুমিদস্যূ, শাহীন ভাড়াটিয়া মাস্তান নিয়ে নুরুল কবিরের বসতবাড়ী দখল নিতে চাইলে,তাদেরকে বাঁধা দেওয়ায় দৃর্বৃত্তরা রুমা নামের কিশোরীকে জবাই করতে চুরি চালিয়েছে,গৃহবধুকে বেদড়ক মারধর করে রক্তাত্ত করেছ সত্য।তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন জেনেছি।তাই আমি দুরে থাকায় তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছি।