নিজেস্ব সংবাদদাতা: ধর্ষণ থেকে কুলের শিশু ও নিরাপদে নেই। পতিনিয়ত মহামারির আকার ধারন করছে এই ব্যধি। সিলেট শহরতলীর সর্দারগাঁও এলাকার ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জালালাবাদ থানায় দুজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ৮। ওইদিন রাতেই ওই স্কুল ছাত্রীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। স্কুল ছাত্রী রায়েরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রী।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হচ্ছে, জালালাবাদ থানাধীন রায়েরগাঁও এলাকার নাছির আলীর ছেলে জসিম মিয়া ও সর্দারগাঁও এলাকার তজম্মুল আলীর ছেলে এখলাছ আলী।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার এসআই জুবায়ের আহমদ। তিনি বলেন, স্কুল ছাত্রীকে প্রায় সাপ্তাহ খানেক আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পিতা রবিবার রাতে দুজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। তাকে ওসিসিতে ওইদিন রাতেই ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
স্কুল ছাত্রীর পিতা বলেন, গত রবিবার রাত ১০টার দিকে আমার মেয়ে বাতরুমে যায়। ওই সময়ে বিদ্যুৎ ছিলো। একটু পরেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এই ফাঁকে সর্দারগাঁও এর এখলাছ আমার মেয়েকে মুখে চেপে ধরে ও রায়েরগাঁও’র জসিম আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় বাছাই নদীর চরে। ওইখানে তারা দুজন মিলে ধর্ষণ করে। এরপর তারা আমার মেয়েকে নৌকায় করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য রাতে নদীর পাড়ে যায়। সেখানে মেয়ের মামা তাদের দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন। এসে দেখেন তাদের কাছে তার স্কুল পড়ুয়া ভাগ্নি। এরপর ভাগ্নিকে উদ্ধারে তিনি প্রস্তুতি নিলে একপর্যায়ে স্কুল ছাত্রীকে ফেলে ঘটনার হোতারা দ্রুত পালিয়ে যায়। মেয়ের বাবা বলেন আমাদের পরিবার হিন্দু ধর্মের। আর আসামীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। এজন্য ভয়ে গত এক সাপ্তাহ কাউকে কিছু বলিনি। অবশেষে পুলিশে নালিশ করতে হল।