জহুরুল হক মিলু, লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের লোহাগড়ায় মোছাঃ শেফালি বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধুকে তার শয়নকক্ষে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার গোবিন্দপুর পৃর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোছাঃ শেফালি বেগম লোহাগড়া উপজেলার গোবিন্দপুর পৃর্বপাড়া গ্রামের আলিম শেখের স্ত্রী।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গৃহবধু শেফালী বেগম তার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে নাহিদা খানমকে রাতের খাবার দেওয়ার জন্য জা পারুল বেগম সাথে নিয়ে রবিবার রাত ৮ টার দিকে পাশ^বর্তী মাদ্রাসা খাদিজাতুল কোবরা কওমী মাদ্রাসায় যায়। শেফালী ও তার জা পারুল বেগম সেখান থেকে বাড়ি ফিরে এসে রাতের খাবার শেষে যার যার বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে। সোমবার সকালে শেফালী ঘুম থেকে না ওঠায় স্বজনদের সন্দেহ হয় এবং এক পর্যায়ে জা পারুল বেগম ঘরের পেছনের দরজার ছিটকানি বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে শেফালীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা ধারালো বটি ও সোনার গহনার ৫টি খালি বক্স উদ্ধার করেছে।
উল্লেখ্য যে, নিহত শেফালী বেগমের স্বামী জাহাজে কর্মরত, বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
নিহত শেফালী বেগমের দেবর আবেদ শেখ (৫০) অভিযোগ করে বলেন, ‘টাকা ও সোনার জন্য আমার ভাবীকে খুন করা হয়েছে, আমরা এ নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চাই ’।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী, ছেল ও মেয়ে বাইরে থাকার সুযোগে দুর্বৃত্তরা শেফালি বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছে।
লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।