মোঃ আশরাফুল ইসলাম খুলনা সদর প্রতিনিধিঃ খুলনায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর হার ও। এইপরিস্থিতিতে মহানগরীসহ জেলার সকল উপজেলায় আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। মা চলবে আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত। এসময় জেলার অভ্যন্তরে সকল ধরণের সাপ্তাহিক হাট-গরুর হাট বন্ধ থাকবে। চাকা ঘুরবে না জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তঃজেলা গণপরিবহণ, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলারসহ যান্ত্রিক যানবাহন। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের আগমন ও বহিরাগমন বন্ধ থাকবে।
জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহানগরীসহ খুলনা জেলায় ঘোষিত বিধি-নিষেধ আরোপ এবং লকডাউনে নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক সপ্তাহের এই লকডাউনে সকল ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল ও কোচিং সেন্টারসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচা বাজারের দোকান প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। উক্ত সময়ের মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো পারসেল আকারে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। সব ধররে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বাইরে অবস্থানকালে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিসের জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অফিস চলাকালীন তাদের নিজ নিজ অফিসের পরিচয়পত্র নিয়ে বাইরে চলাচল করতে পারবে।
আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট অফিসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং উৎপাদনশীল শিল্প ও কল-কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম এ বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।
উক্ত বিধি-নিষেধ মহানগরসহ খুলনা জেলার সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনার জেলা প্রশাসক এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ সকল তথ্য জানান।