রাকিব হোসেন,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল উদ্বোধনের ১০ বছর পার হলেও হচ্ছেনা কোন প্রকার স্বাস্থ্যসেবা। দহগ্রামবাসীকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিনিয়ত ঝুলে আছে তালা। সঠিক জনবল থাকলেও কোনো ঘোষণা ছাড়াই হাসপাতালটি সব সময় বন্ধ থাকে। এতে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতাবাসী।
দেশের বহুল আলোচিত সাবেক ছিটমহল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার একটি ইউনিয়ন দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা। ১৯৮৫ সালে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল একত্রে পাটগ্রাম উপজেলার একটি স্বতন্ত্র ইউনিয়ন (দহগ্রাম ইউনিয়ন) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৯ সালের ১৯ আগস্ট এখানে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্বোধন করা হয়।
২০১১ সালে ১৯ অক্টোবর দহগ্রাম সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দহগ্রামবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ১০ শয্যার হাসপাতাল উপহার দেন। সেই থেকে সরকারি কাগজ কলমে হাসপাতালটিতে সেবা দেওয়া হলেও বাস্তবে ভিন্ন।
এখানে আন্তঃবিভাগ-বর্হিবিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো কারণ বা ঘোষণা ছাড়াই কয়েক বছর ধরে আন্তঃবিভাগ বন্ধ রয়েছে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিতে মাঝে মধ্যে কিছু প্যারাসিটামল ট্যাবলেট নিয়ে দুই ঘণ্টার জন্য হাসপাতাল খুলে বসেন দু-একজন ওয়ার্ডবয় ও নার্স। মাঝে-মধ্যে চিকিৎসকও আসেন, তবে নিয়মিত নন। আর এলেও দুপুর ১২টার মধ্যে হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে চলে যান তারা। দুপুরের পর থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত কারও কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসা নিতেও ছুটতে হয় পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানা যায় , উদ্বোধনের দিন থেকে দহগ্রাম হাসপাতালে আন্তঃবিভাগ-বর্হিবিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসারের চারটি পদ পূর্ণ থাকলেও দু’জন চিকিৎসক ৮/৯ বছর ধরে অলিখিত ছুটিতে। এমবিবিএস দুই জন চিকিৎসক খাতা কলমে এ হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও বাস্তবে তাদের কোনো সন্ধান নেই খোদ সিভিল সার্জনের কাছেও। বাকি দু’জন বেতন ভাতা তুললেও বাস্তবে কর্মস্থলে নেই। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দু’টি পদের একজন কর্মরত থাকলেও বাস্তবে তিনিও অনুপস্থিত। নার্স চারটি পদের চারজনই এ হাসপাতালের সেবা দেখিয়ে কোন রকম কাজ না করেই তারা বেতন নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নিজের তহবিল থেকে দেওয়া দহগ্রাম ইউনিয়নের গুরুতর অসুস্থ মানুষদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত যাতায়াতের জন্য দেওয়া এম্বুলেন্স টি এখন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহার হচ্ছে।
এর থেকে মুক্তি চায় দহগ্রাম বাসি,তারা মেডিকেল টি পুনরায় চালু করে সেবা গ্রহনের আশায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছে।