কোম্পানীগঞ্জে নিরীহ ব্যক্তিদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। মঙ্গলবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্থানীয় কাঁঠালবাড়ি গ্রামের ভুক্তভোগী আলফাত আলীর পুত্র রহমত উল্যাহ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কাঁঠালবাড়ি গ্রামের জসিম উদ্দিনের সাথে তাঁরই আপন ভাই হাসান গংদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জেরে গত সোমবার দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। হেলাল নামে এক যুবকের ডান হাতের কব্জি কাটা যায়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ১৭ জনের নামোল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন হেলালের পিতা জসিম উদ্দিন।
মামলায় স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় আমার পিতা আলফাত আলী, চাচা সিরাজুল ইসলাম ও বড় ভাই নবী হোসেনকে জড়ানো হয়। রাতেই আমার পিতাকে আটক করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কাঁঠালবাড়ির ঘটনাটি সম্পূর্ণ একটি পারিবারিক বিরোধ। এ ঘটনার সাথে এবং বাদি-বিবাদির সাথে আমার পিতা, চাচা, ভাই কিংবা পরিবারের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে নিরীহ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যাহতিসহ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কাঁঠালবাড়ি গ্রামের ইউপি সদস্য দেলোয়ার মাহমুদ জীবন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজনু মিয়া চৌধুরী, আব্দুর রউফ, উসমান খাঁন, শফিকুল ইসলাম, ইসমাইল আলী, আব্দুল মালেক, মোবারক হোসেন, চাঁন মিয়া, হাশেম চৌধুরী, আব্দুল মন্নান, জসিম উদ্দিন, আল আমিন, আলী হোসেন, আমিনুল হক, হাফিজ উদ্দিনসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।