হুদা মালী শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার উপকূলের বেড়ি বাঁধ রাক্ষায় গাছ ও বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কেটে বাঁধ করার অভিযোগ।
এছাড়া মূল বাঁধের গোড়া থেকে মাটি নিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাঁধের উপর। স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে।যে কারণে বাঁধের পাশ দিয়ে সু্ন্দরবনের গড়ে উঠা ছোট বড় সকল গাছ কেটে দেওয়া হচ্ছে। বাঁধের গোড়া থেকে মাটি নিয়ে করা হচ্ছে বাঁধের কাজ।
সম্প্রতি ইয়াসের পরে ত্রাণ ও দূযোগ মন্ত্রনালয়ের জরুরী বাজেটে উপকূলের শ্যামনগর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ানের গাবুরা,পদ্মাপুকুর, বুড়িগোয়ালীনি, মুন্সীগঞ্জ,কৈখালীর ২৩টি ঝুঁকিপূণ বেড়িবাঁধের মেরামতের কাজ শুরু করে দূযোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় প্রাপ্ত ঠিকাদারা। কিন্তু স্থানীয় কোন ব্যক্তিদের অবহিত না করে নিজের মত করে কাজ করছে ঠিকাদাররা।দূযোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে দেখভালের জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হলেও তারা সুর মিলাচ্ছে ঠিকাদারদের সাথে। এদিকে পাউবো কর্মকর্তাদের দাবি আমাদের কথা তোয়াক্কা না করে নিজেদের মত করে কাজ করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায় এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে বেড়িবাধের পাশ দিয়ে থাকা সকল গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সিংহড়তলী গ্রামের জিয়াউর রহমান (৫০) বলেন, বেড়িবাঁধ ঠিক করতে এসে বাঁধ রক্ষার গাছ কেটে দিয়ে বাঁধ দিচ্ছে। ঝড় আসলে গাছ বাঁধ রক্ষা করত কিন্তু যেভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে চরের গাছ কাটা হচ্ছে তা দিয়ে বাঁধ দেওয়ার দরকার ছিল না। অলোক মন্ডল বলেন, যেভাবে গাছ কেটে বাঁধ দেওয়া হচ্ছে ঝড় আসলে বাঁধ আবার ভেঙে যাবে।
বুড়িগোয়ালিনী চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, সব চেয়ে দু:খের বিষয় এই যে আমাদের স্থানীয় সরকারকে না জানিয়ে একাজ গুলো করছে। অনেক প্রত্যাশার পরে উপকূলে বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু যে ঠিকাদারা কাজ করছে তারা কাজের সিডিউল না দিয়ে কাজ করছে।এছাড়া বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কেটে বাঁধ দেওয়া হচ্ছে এটা টেকসই হবে না।বিশেষ করে বাঁধ রক্ষার যে গাছ রয়েছে তা এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটার সময় গাছ গুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। এবিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে দেখার অনুরোধ জানান।
পাউবোর সেকশান অফিসার মাসুদ রানা জানান, দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।আমরা তাদের কে বিভিন্ন ভাবে তাগিদ দিলেও তারা আমাদের কথা নিচ্ছে না। গাছ কাটার বিষয় বলেন, বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কাটা নিষেধ এবং বাঁধ রক্ষার গাছ কাটা নিষেধ করা হলেও ঠিকাদারের লোকজন শুনছে না।তাদের মত তারা কাজ করে যাচ্ছে।