সিলেট জেলা যুবলীগ এর সভাপতি প্রিয় নেতা ভিপি শামিম সাহেবের ফেসবুক টাইম লাইন থেকে লিখাটি সংগ্রহ করেছেন যুক্তরাজ্য ডরসেট আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য,সমাজ সেবক ও প্রাবন্ধিক আহমেদ সেলিম।
“মিয়ানমারের মুসলমানদের উপর অত্যাচার হয়েছে, অত্যাচারের কারনে ১০ লাখ মুসলিমকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় দিলেন। ইজরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের উপর অত্যাচার করছে, ভারতে মুসলমানের উপর অত্যাচার হচ্ছে, একটা দিন শুনলাম না বাংলাদেশের মোল্লা মুনসী, আলেমরা মায়ানমার, ফিলিস্থিনি বা ভারতে যাওয়ার অনুমতি চাইছেন সরকারের কাছে । সরকার অনুমতি দিচ্ছেনা তাই লুকিয়ে বর্ডার ক্রস করছেন বা আন্দোলন করেছেন ফিলিস্থিনি, ভারত বা মায়ানমার যাওয়ার জন্য নির্যাতিত মুসলমানের পক্ষে যুদ্ধ করবে বলে । ৭১ এর মুক্তি যুদ্ধে শুনলামনা যে অমুক হুজুর যুদ্ধে গেছেন এবং মারা গেছেন।
আগে পরিবারের সবচেয়ে অকর্মণ্য যে ছেলে বা বোকা বা দুষ্টা যে ছেলে তাকে মাদ্রাসায় দেওয়া হতো। মাদ্রাসা লেখাপড়া শেষ করে যেকোনো মসজিদে চাকরি নিতেন এবং মিলাদ বা দোয়া শেষ করার পর ডায়লগ ছিল চলে যাবো দিয়ে দেন তো ——-। দিতেন ১৫০/২০০ টাকা বড়জোর ৫০০ টাকা । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা মাদ্রাসা গুলিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। জেনারেল লাইনে লেখাপড়া সমসাময়িক করে দিয়েছেন । মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে এখন চাকরি করতে পারবে।
এত বড় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও মোল্লা মুন্সিদের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতার কোন বহি: প্রকাশ আমরা দেখতে পাইনা। ধরে নিলাম মোদি ইসলামের দুশমন, মুসলমানদের দুশমন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে প্রধানমন্ত্রী মাদ্রাসাকে এত বড় স্বীকৃতি দিলেন । ভারত প্রধানমন্ত্রীর যে চেয়ার ৭১ সালে আমাদের স্বাধীন করতে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে । আর্মিদের সিভিল এ মুক্তি যোদ্ধা বানিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। এক কোটি মানুষকে যে চেয়ার- বসায়ে বসায়ে খাইয়েছে ৯ মাস, সেই চেয়ারকে দাওয়াত দিয়েছেন। মোদির দোষ আছে, থাকতে পারে । কিন্তু চেয়ারকে তো সম্মানটা দেওয়া উচিত ছিল।
যদি মোদি আসা পছন্দ না হয়ে থাকে তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানানো ঠিক ছিল , নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতে পারতেন। যাতে মোদি বুঝেন যে আমাকে এরা পছন্দ করেনা, অন্যান্য দেশ ও বুঝতে পারে মোদিকে এরা পছন্দ করেনা। এটা ছিল তাদের জন্য অনেক বড় সফলতা।
তা না করে তারা ১২/১৩ বছরের বাচ্চাদের রাস্তায় নামিয়ে দিলেন আন্দোলন করার জন্য। এসব বাচ্চাদের মাথায় ” বাঁচলে গাজী মরলে শহীদ” এই শ্লোগানটি ঢুকিয়ে দিয়েছেন । তারা তো কিছুই বুঝে না।
আন্দোলন-সংগ্রাম করার পরও যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটা না মানেন তারপরেও আপনাদের কিছু বলা উচিত হয়নি বা কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করা উচিত হয়নি এবং কোমলমতি বাচ্চাদের গাজী,শহীদ বলে রাস্থায় বের করে দিলেন আর ২১ জন মারা গেল। মারা গেল এটা নেতাদের জন্য কোন বিষয় নয় বলে বর্তমানে প্রমানিত , ২১ ছেলের লাশের উপর পা রেখে আমোদ ফূর্তিতে মশগুল থাকবেন আর এদিকে যার ছেলে মারা গেছে সেই ছেলের মা, বাবা চিৎকার করে কেঁদে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করছেন আর মামুনুল সাহেব বউ নিয়ে হোটেলে ফুর্তি করছেন ।
একদিকে আপনার কারনে কান্না আর অন্যদিকে সেই আপনী মেয়ে নিয়ে ফূর্তি এটা কতবড় কষ্টের বিষয়,কত বড় যন্ত্রনার বিষয় । আপনার ছেলে মারা গেলে এ ফূর্তি কি আপনী করতে পারতেন? একটা বার হেফাজতের একজন আলেম বলতে শুনলাম না যে- ২১ ছেলের লাশের উপর পা রেখে সে মামুনুল ফূর্তিতে যায় কিভাবে? তাহলে কি ধরে নেবো হেফাজতের কারো বিবেক নেই?
আমাদের আলেম ওলামার একটা দোষ পরিলক্ষিত হলো । সমস্ত জীবন আপনার জন্য আমি জান,ধন দিলাম আর একটু দোষ যদি করে ফেলি অতীতের সব অবদান শেষ হয়ে গেল ।আপনাদের মাঝে কৃতজ্ঞতার অনেক অভাব আছে । বিবেকের অনেক অভাব আছে । বিবেককে জাগান । মনকে ঠিক করুন । মাদ্রাসা নামের গাজী,ও শহীদ বানানোর ভূয়া কারখানা বন্ধ করে সঠিক শিক্ষা দানের ব্যবস্থা করুন।
আমরা মুসলমান, আল্লাহর গোলাম আমি । আল্লাহ যা অর্ডার করেছেন সব কিছু ঠিকমত পালন করতে পারছিনা কিন্তু প্রতিদিন সেজন্য অপরাধবোধে ভোগী। কষ্ট পাই। আমার আল্লাহকে, আমার নবী (স:)কে কেউ কটাক্ষ করে যেতে পারবেনা আমাদের মত সাধারণ মুসলমানের সামন থেকে । আমাদেরকে আপনারা আলেমরা অন্য চোখে দেখবেন না। আমরা মুসলমান। আল্লাহ আমাদের রব, হযরত মোহাম্মদ (স:) আমাদের নবী। দাবী একটাই আপনারা ধর্ম কর্ম করেন, আল্লাহর দিন প্রচার করেন কিন্তু ইসলামকে পুঁজি করে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ পরিহার করুন।
যতটুকু উচু ততটুকু কথা বলুন । লেভেল থেকে বেশী কথা বললেই সমস্যা। আল্লাহ ব্যবস্থা করে ফেলেন। যেভাবে মামুনুল হককে আল্লাহ ধরেছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত করুন”।