সমুজ আহমদ সায়মন বিশ্বনাথ (সিলেট)থেকেঃ স্মার্ট ফোন ব্যবহারে মানুষের জীবন যাত্রাকে সহজতর করেছে। কিন্তুু বর্তমানে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা থেকে শুরু করে গ্রাম এলাকায় শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে দেখা যায় স্মার্ট ফোন। এসব স্মার্ট মোবাইল ফোন কেউ ভালো কাজে আবার কেউ আবার খারাপ কাজে ব্যবহার করছে। আবার অসাধু শ্রেণির লোকেরা স্মার্ট ফোনের অপব্যবহার করে জোয়ার আসর বসাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।এসব স্মার্ট মোবাইল ফোন আবিষ্কারের কারণে সুবিধা হয়েছে যেমন ঠিক তারচেয়ে অসুবিধাটা হয়েছে বেশী।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বর্তমানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে এখন স্মার্ট ফোন। এসকল ফোনে বিভিন্ন সফওয়ার এ্যাপস এর সাহায্যে গেমস খেলাসহ নান ধরনের শিক্ষামূলক বিভিন্ন কাজ করা যায়। সম্প্রতি ফ্রি ফায়ার ফাবজী লুডু ইত্যাদি এ্যাপসের মাধ্যমে গেম খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ছে তারা। বিভিন্ন জায়গায় এই গেইম গুলো টাকার বিনিময়েও খেলছে।
এছাড়া লুডু কাগজের তৈরী লুডুর মতো সহজেই খেলা যায় বলে শিক্ষার্থীরা লুডু অ্যাপসটি ইনস্টল করে খেলতে পারে। সহজলভ্য আর সহপাঠী নিয়ে খেলা যায় বলে বাজীতে আকৃষ্ট হচ্ছে অনেকে। নাম বলতে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘরবন্দী হয়ে গেছে এবং মোবাইলে আকৃষ্ট হয়ে পরে এ ধরনের ডিজিটাল জুয়ার আসরে ঢুকে পড়ে। একটু সময় পেলে শিক্ষকদের চোখ ফাকিঁ দিয়ে ও অবিভাবকদেরও চোখ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা ঘরে এই লুডু খেলায় মেতে ওঠে।
এ নেশায় শুধু শিক্ষার্থীরা আসক্ত নয়,গ্রাম গন্জের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষেরা দিনদিন আসক্ত হয়ে পড়ছে বিভিন্ন গেমসের এ্যাপসটিতে।জনপ্রিয় এই এ্যাপসগুলি ব্যবহার করে গ্রামাঞ্চলে সন্ধ্যা বেলায় চায়ের দোকানে, রাস্তার মোড়ে, পুকুর পাড়ের নির্জন স্থান বেঁচে নিয়ে খুব সহজেই একটি চক্র প্রায় প্রতি দিনই জুয়ার আসর বসাচ্ছে।এ জুয়ার আসরে আকৃষ্ট হয়ে নিমিষেই হাজার হাজার টাকা হারাচ্ছে জুয়াড়িরা।গ্রামের যুবকরা দৈনন্দিন কাজ কর্ম বাদ দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটাচ্ছে এসব লুডু নামক জুয়ার আসরে।
ফলে একদিকে টাকার অপচয় অন্য দিকে সময় নষ্ট হচ্ছে। তবে এভাবে চলতে থাকলে যুব সমাজ এক সময় ধ্বংসের দারপ্রান্তে পৌছে যাবে।এ বিষয়ে সচেতন মহল বলেন,এসব জুয়ার বিষয়ে তাড়াতাড়ি সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যতে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।বিশেষ করে আমাদের যুুব সমাজকে লুডু,ফ্রীফায়ার ফাপজি ইত্যাদি জুয়া খেলা থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।