জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম:- কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে স্বামীর নির্যাতনে সুমি খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ৩১ মে সোমবার উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বানিয়াটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন বলদিয়া গ্রামের সাদেক আলীর কন্যা সুমি খাতুনের সাথে চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বানিয়াটারী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে তাহাদুজ্জামানের এক বছর আগে বিয়ে হয়।
মেয়ের বাবা সাদেক আলী বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের কারনে আমার মেয়েকে মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করত।
ঘটনার দিন সোমবার আমার জামাই আমাকে জানায় যে আপনার মেয়ে সুমি গুরুতর অসুস্হ্য।
খবর পেয়েই আমি মেয়ের বাড়ির পোঁছে দেখি মেয়েকে নিয়ে জামাই এর বাড়ির লোকজন অটোতে তুলে হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি দেখতে পাই মেয়ের মুখে ফেনা।
এমতবস্থায় অটো নিয়ে ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রওনা দেই।
কিন্তু পাইকের ছড়ার ফূটানিবাজার এলাকায় পোঁছলে আমার মেয়ে গোঙ্গানী দিয়ে আরো বেশী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার দেখালে ডাক্তার মেয়েকে মৃত্যু ঘোষনা করে।
মেয়েটির বাবা সাদেক আলী আরোও বলেন, বিয়ের সময় ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের চুক্তিতে বিয়ে দেই। ইতোমধ্যে যৌতুকের অর্ধেক টাকা পরিশোধ করেছি।
বাকি টাকা দিতে দেরী হওয়ায় জামাই তাহাদুজ্জামান (২৫) সোমবার তাঁর স্ত্রী সুমিকে মারধর করেন। তার দাবী স্বামীর নির্যাতনেই আমার মেয়ে সুমির মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সাদ্দাম হোসেন বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে গেছে।
ছেলের দাদা আব্দুল আজিজ বলেন, গমের গুড়া খেয়ে আমার নাত বউ সুমি হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রতিবেশি সালমা বেগম বলেন অসুস্থ্য হওয়ার খবর শুনে ওই বাড়িতে এসে দেখতে পাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে ছেলের বাড়িতে গিয়ে শুনতে পাই গমের গুড়া খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পথে মেয়েটির মৃত্যু হয় বলে শুনেছি।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, একটি ইউ ডি মামলা হবে লাশ পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়ছে এবং ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে। সত্য উৎঘাটনের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।