আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার কাশিবাটি গ্রামে, এক গ্রম্য ডাক্তার আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারী) ভোর ৪টার দিকে কাশিবাটি কদবেলতলা এলাকার আনছার আলি (৫৭) নামে এই গ্রাম্য ডাক্তার গলায় গামছা ও মাফলার জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার স্ত্রীর অভিযোগ।
সকাল ১১ টায় কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
প্রতিবেশি সূত্রে জানা যায়, গ্রাম্য ডাক্তার আনছার আলী একজন প্রবীন ডাক্তার, তার নাম যশও আছে। ডাক্তার আনছার দীর্ঘদিনের মাদকাসক্ত ব্যক্তি ছিল বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রতিবেশি সূত্রে জানা গেছে।
অপরদিকে ডাক্তার আনছারের স্ত্রীর চরিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সর্বক্ষণ ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত বলে জানা যায়।
ঘটনার আগের দিন রোববার দুপুরে তাদের দুজনের মধ্যে কয়েক দফায় ঝগড়া হয়।
এক পর্যায়ে ডাক্তার আনছার আলী দুপুরে গলায় রশি দিতে যায়। প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে। এরপর ডাক্তার তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনের সিম জব্দ করে।
ডাক্তারের অভিযোগ ছিল, মোবাইলে তার স্ত্রী একাধিক পুরুষের সাথে কথা বলে। মোবাইল সিম নিয়ে ডাক্তার তার স্ত্রীকে ঘরে দরজা দিয়ে আটকে রাখে। ঝগড়া করে রাতে ডাক্তার অন্য রুমে রাত্রি যাপন করে।
স্ত্রীর অভিযোগ তার মাদকাসক্ত স্বামী ঝগড়াঝাটির জেরে পুনরায় গলায় গামছা বেঁধে আত্মহত্যা করেছে।
কাল একটু বেশি গাঁজা খাওয়া হয়েছিল। যে কারনে তার মাথা ঠিক ছিল না। এজন্য ঘন ঘন আমাকে মারতে আসছিল। আর সর্বশেষ রাতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রতিবেশী সূত্রে আরো জানা গেছে, মৃত আনছার ডাক্তারের ছেলে শাহনেওয়াজ পারভেজ (২৮) কিছুদিন পূর্বে তার পিতাকে গলা ধাক্কা দিয়ে, বাড়ি থেকে শশুর বাড়ি চলে যায়।
পিতার মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে আসে এবং থানা পুলিশের সামনেই তার মাকে মারে।
শাহনেওয়াজ মাকে প্রকাশ্যে বলে তুই আমার আব্বাকে মেরে ফেলছিস। তখন পুলিশের সামনেই স্থানীয়রা আবার তাকে ছাড়িয়ে নেয়।
থানা পুলিশ সকল ঘটনার পরিদর্শন করে লাশ নিয়ে যায় এবং ময়নাতদন্তের পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানায়।