জহুরুল হক মিলু, লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের লোহাগড়ায় শ্রী শ্রী রক্ষা চন্ডী মন্দিরের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে কামঠানা গ্রামের প্রভাবশালী মুন্সি মুহাম্মদ আলী ইমরুলের বিরুদ্ধে।
রোববার (১৬ জুলাই) সকালে শ্রী শ্রী রক্ষা চন্ডী মন্দিরের সভাপতি প্রভাষ চন্দ্র সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মানতু সিকদারের যৌথ স্বাক্ষরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলার অন্যান্য প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামঠানা শ্রী শ্রী রক্ষা চন্ডী মন্দিরের এলাকায় প্রায় চার শতাধিক হিন্দু পরিবার রয়েছে। এ মন্দিরটি আড়াই শো বছর আগে তৈরি হয়েছে।এ মন্দিরের জায়গা ২১ শতক। ওই গ্রামের প্রভাবশালী মুন্সি মুহম্মদ আলী ইমরুল ও তার দলীয় লোকজন নিয়ে মন্দিরের দখলীয় জমির ৪ শতক জমি দখল করে খুঁটি পুতেছেন। মন্দির সংলগ্ন বেড়িবাধ পুকুরে মন্দির উন্নয়নের কাজে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছেন মন্দির কমিটি।কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী মুন্সি মুহম্মদ আলী ইমরুল পুকুরের মাছ ধরে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
শ্রী শ্রী রক্ষা চন্ডী মন্দিরের সভাপতি বলেন, কামঠানা গ্রামের রক্ষা চন্ডী মন্দিরে এত দিন সবকিছু ঠিকঠাকভাবে চলে এলেও শনিবার (৮ জুলাই) সকালে মন্দিরের ৪ শতক জায়গা ওই গ্রামের প্রভাবশালী মুন্সি মুহম্মদ আলী ইমরুলসহ তার দলীয় লোকজন নিয়ে দখল করে খুঁটি পুতেছেন এবং মন্দিরের পুকুরের মাছ ধরে নেওয়ার হুমকিও দিচ্ছেন তিনি।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন মন্দির পরিচালনা কমিটি।
প্রতিপক্ষ মুন্সি মুহাম্মদ আলী ইমরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৬৪২ খতিয়ানে ১৪৪৬ দাগের ৭২ শতক জমির মধ্যে ৩২ শতক জমি আমাদের নিজস্ব। এই জমিটা আমার মাতার নামে দলিল। আমার মাতা মারা গেছেন সেই সুত্রে আমরা এখন এই জমির মালিক। আমি মন্দির সংলগ্ন পুকুরের মাছ মারার কোনো হুমকি দেয়নি এটা মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এগুলো বলচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমি মন্দিরের দক্ষিণ পাশে আমার নিজস্ব একশতক জমি আছে সেই জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ করে আমি খুঁটি পুতেছি। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানায় বিচার সালিশও হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর আলী বলেন, এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।