বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ
চলমান পরিস্থিতিতে বিশ্বনাথের সবজি বাজারগুলো অশান্ত। তদারকি বা দেখভালের কেউ না থাকায় যে যার মত দাম নিচ্ছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে। বিশ্বনাথ পৌরসভার বাজার ছাড়া ও গ্রামগঞ্জের অন্যান্য বাজারগুলোতে একি চিত্র দেখা গেছে সরজমিনে। গ্রামের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি সবজিতে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাজা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। অস্থির সবজি বাজার নিয়ে অসহায়ত্বের ছাপ ক্রেতাদের চোখে মুখে। ক্রেতাদের অভিযোগ কেউ দেখভাল ও বাজার তদারকিতে না থাকার ফলে এমন অরাজকতা বিরাজ করছে।
তবে বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে অন্য কথা, তারা বলছেন সবজির সরবরাহ কম ও দেশের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় আড়ৎ থেকে তরিতরকারি গুলো বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। বিশ্বনাথ পৌর শহরের কাচামাল ব্যবসায়ী জসিম ও আলাউদ্দিন এর সাথে কথা হলে তারা একধরনের অভিযোগ করে বলেন সবজির দাম না কমার কারণই হচ্ছে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। তবে দাম শীঘ্রই কমে যাবে এমনটি তাদের আশা।
বুধবার ১৪ আগস্ট উপজেলার প্রধান প্রধান ১৫ টি বাজার ঘুরে তরিতরকারি প্রতি কেজি বিক্রয় মূল্যে দেখে হিসেব মেলানো যায়নি। একেক বাজারে একেকটি সবজি দাম একেক রকম। বিশ্বনাথ পৌর শহরে যে সবজির দাম ৭০ টাকা কেজি সেটি মফস্বল এলাকায় ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। একমাত্র পেঁপের কেজি ছাড়া ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই।
কাঁচা মরিচ ৩০০ শত টাকা থেকে ৪০০ শত টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্বনাথ পৌরসভার নতুন বাজার ও পুরান বাজারে আজ প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। চিচিংগা ৬০ থেকে ৭০, টমেটো ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০, বেন্ডি ৫০, মূলা ৭০, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ১৬০, কচুরমুকি ৭০ টাকা, ফুলকপি ১০০, বাঁধা কপি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চিনি ১৩৫, সয়াবিন ১৭০, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ডিম প্রতি হালি মুরগ ৫০ হাঁস ৭০ টাকা, ও বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৯০ টাকায় এছাড়া লেয়ার মুরগ প্রতি পিস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিদিনই উঠানামা করছে প্রতিটি সবজির দাম। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে বাজার মনিটরিং করা এমনটি দাবী করেন একাধিক ক্রেতা। বৈরাগী বাজারের সবজি ক্রেতা সানুর আলী, হেলাল আহমদ ও লামাকাজি বাজারে ব্যবসায়ী আব্দুল হক, পীর বাজারের আলকাছ আলী ও সিংগেরকাছ বাজারে আবু তৈয়ব, লোকমান আহমদ এমন দাবী করে বলেন দ্রুত প্রশাসনের নজরদারি করা উচিত না হলে নিম্ন আয়ের মানুষ না খেয়ে থাকতে হবে।