বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ
বাজার তদারকি নেই। উপজেলা সদরে বছরে এক দু’দিন দায়সারা ভোক্তা ও মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হলেও মফস্বল এলাকায় এধরণের অভিযান না থাকায় ইচ্ছেমত ভোগ্যপণ্যের দাম নিচ্ছেন দোকানিরা। বিশাল আয়তনের বিশ্বনাথ উপজেলার সাধারণ ক্রেতাদের গলা কাটা হচ্ছে পেঁয়াজ, মরিচ, তেলের দোকান থেকে শুরু করে তরিতরকারি, পোল্টি ও মাছের বাজার গুলোতে। দু’একটি দোকান ছাড়া মূল্য তালিকা নেই ৯৮% ভাগ বড় বড় মুদিদোকানে ও। অবাধে বিক্রি হয় মেয়াদ উত্তীর্ণ দ্রব্য। মফস্বল বাজার গুলোতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিয়ম নীতির কোন বালাই নেই দোকানীদের কাছে। ইচ্ছেমত পণ্যের দাম নেন ক্রেতার কাছ থেকে।
উপজেলার বিশ্বনাথ সদর, হাবড়া বাজার, লামাকাজী, প্রীতিগনজ, রাজাগঞ্জ, ষ্টেশন মসজিদ বাজার, মুফতি বাজার, সিংগের কাছ, রামপাশা, বৈরাগী বাজার সহ একাধিক বাজার ঘুরে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দাম নেওয়ার এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার তদারকি এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে এমন পরিস্থিতি হত না। দোকান মহাজনদের নিকট ক্রেতারা জিম্মি বলেও অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেন। আমিন হুসেইন নামের এক ক্রেতা জানান পেঁয়াজ, তেল, চালের দামের সাথে সরকার নির্ধারিত মূল্যের কোন মিল নেই। যে যেমন পারছে তেমন দাম নিচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা ওজনে ও কারচুপি করেন। মাছ মাংসের দোকানেও একি অবস্থা। সিরাজ মিয়া নামের আরেক ক্রেতা অভিযোগ করেন মফস্বল বাজার গুলোতে বছরেও কোন অভিযান চালানো হয় না। যার কারণে অনেক ভোগ্যপণ্য মেয়াদ শেষের পরে দোকানীরা বিক্রি করে থাকেন। আমরা নিরিহ জনগণ ঠকছি প্রতিনিয়ত।
মফস্বল বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা, সয়াবিন ১৭৫ থেকে ১৮০, পামওয়েল ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকা, চিনি ১৫০ টাকা, মসুর ডাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। পোল্ট্রি মুরগ ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা ও পোল্ট্রি ডিম ৬০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৭০ টাকা হালি।
শীতকালীন আগাম সবজি বাজারে এলেও তরকারি বাজারে ও যে যার মত ক্রেতা জবাই করছেন। আলু ৬০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, সীম ৫০ থেকে ৭০, বরবটি ৬৫ -৭০,বেগুন ৬০, মুলা ৪০, লতি ৫০, কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৫০, টমেটো ১২০, বাঁধাকপি ৫০, ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা ধরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণহীন বাজার নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষের অভিযোগের ব্যাপারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার জানিয়েছেন মফস্বল বাজার গুলোতে অভিযানের ব্যবস্থা শীঘ্রই করা হবে। এব্যাপারে এসিল্যান্ডকে নির্দেশনা দেওয়া আছে।