(নওগাঁ) প্রতিনিধি.
নওগাঁর ধামইরহাটের সীমান্ত ঘেষা নিভৃত পল্লীতে অবস্থিত মেধা অন্বেশনের আলোক বর্তিকা ‘মজিবুর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগার’ যা প্রত্যন্ত এলাকায় জ্ঞানের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত। সেই গ্রন্থাগার ইতোমধ্যে জেলা ও বিভাগ পেরিয়ে সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দেশের খ্যাতিমান ও স্বনামধন্য লেখক, স্থপতি, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ‘মজিবুর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগার’টি পরিদর্শন করেছেন। ধামইরহাট উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্র আগ্রাদ্বিগুন বাজারে অবস্থিত ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মজিবুর রহমান স্মৃতি পাঠাগার। পাঠাগারটি চালু হওয়ার পর প্রত্যন্ত গ্রাম্যঞ্চলে বই প্রেমি মানুষ ও তরুন শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়া তথ্যা পাঠাভ্যাসের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
সীমান্তবর্তী এই এলাকায় আলোচিত এই পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন গ্রীণ ভয়েস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রগতিশীল, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব মো. আলমগীর করিব। গ্রন্থাগারটি দেশের খ্যাতিমান লেখক, সাংবাদিক, স্থপতি, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ পরিদর্শনে মুগ্ধ হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ৬ মার্চ বিকেলে গ্রন্থাগারটি পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক হুইপ মো.শহীদুজ্জামান সরকার এম.পি। পরিদর্শনকালে তিনি উপহার হিসেবে মজিবুর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগারে বিশ্ব ভারতীতে প্রকাশিত রবীন্দ্র রচনাবলী ১৮ খন্ড এবং বরেন্দ্র চর্চা কেন্দ্র হতে প্রকাশিত ও আতাউল হক সিদ্দিকীর’ সম্পাদনায় ‘ধামইরহাট-পত্নীতলার ইতিহাস ঐতিহ্যে’র মূল্যবান বই প্রদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ধামইরহাটের প্রত্যন্ত এলাকায় গড়ে উঠা এই গ্রন্থাগারের সাথে আমরা আছি, এবং নতুন নতুন পাঠক তৈরীতে ও শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরীমূখী করতে সকল সহযোগিতা করে যাবো।’ বই প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ধামইরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান মো.আজাহার আলী মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. দেলদার হোসেন, সরকারি এম এম কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম, আগ্রাদ্বিগুন ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মোস্তাক, আগ্রাদ্বিগুন কলেজের অধ্যক্ষ মোজাফ্ফর রহমান, সহকারি শিক্ষক আবু মূসা, লাইব্রেরীয়ান রায়হান পারভেজ প্রমুখ।
মজিবুর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্নদ্রস্টা মো. আলমগীর করিব জানান, যে স্বপ্ন নিয়ে পাঠাগারটি তৈরি করেছিলাম তা পূরণের পথে, ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে জ্ঞান চর্চা করছে, দেশ,জাতি-বিশ্বকে জানছে, তরুনরা মাদকাসক্ত না হয়ে বইমূখী হচ্ছে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে লাইব্রেরীকে আরও উন্নত করতে কাজ চলমান রয়েছে।’