1. admin@asianexpress24.com : admin :
  2. asianexpress2420@gmail.com : shaista Miah : shaista Miah
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
লালমনিরহাট হাতিবান্ধা শালবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আটক- ৬ কাশ্মীরে ২ জঙ্গি নিহত, অস্ত্রভান্ডারের সন্ধান, ভোট গণনার আগে উদ্বেগ  লোহাগড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত বিশ্বনাথে চিকিৎসাধীন অটো চালক ইজাজ মারা গেছেন নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আলো ছড়াতে অনন্য উদ্যোগ বিশ্বনাথের দেওকলস দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলাদুন্নবী পালন  বিশ্বনাথে আন্তর্জাতিক অহিংসদিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ইউসিবি ব্যাংকের লোহাগড়া উপশাখা নতুন ভবনে স্থানান্তর ও উদ্ধোধন যুক্তরাজ্য কমিউনিটি নেতা আনছার উদ্দিন’র সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় ফুলবাড়ীতে ৫ টি স্বর্ণের বার সহ ১ চোরাকারবারি আটক
শিরোনাম
লালমনিরহাট হাতিবান্ধা শালবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আটক- ৬ কাশ্মীরে ২ জঙ্গি নিহত, অস্ত্রভান্ডারের সন্ধান, ভোট গণনার আগে উদ্বেগ  লোহাগড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত বিশ্বনাথে চিকিৎসাধীন অটো চালক ইজাজ মারা গেছেন নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আলো ছড়াতে অনন্য উদ্যোগ বিশ্বনাথের দেওকলস দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলাদুন্নবী পালন  বিশ্বনাথে আন্তর্জাতিক অহিংসদিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ইউসিবি ব্যাংকের লোহাগড়া উপশাখা নতুন ভবনে স্থানান্তর ও উদ্ধোধন যুক্তরাজ্য কমিউনিটি নেতা আনছার উদ্দিন’র সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় ফুলবাড়ীতে ৫ টি স্বর্ণের বার সহ ১ চোরাকারবারি আটক লোহাগড়ায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত সিলেটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির ঐতিহ্য দীর্ঘকালের : কাইয়ুম চৌধুরী বিশ্বনাথে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু  দশগাঁও নওয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ গঠন কোম্পানীগঞ্জে পর্যটন দিবস পালিত

ঝালকাঠিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অসাধু জেলেরা

  • Update Time : রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৯৭ Time View

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

নিষেধাজ্ঞা আসার খবর পেয়ে মা ইলিশ নিধনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কিছু অসাধু জেলে। ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব অসাধু জেলেরা নতুন নতুন একাধিক নৌকা ও কারেন্ট জাল সংগ্রহ করা শুরু করেছেন। কেউ কেউ আবার পুরনো জাল ও নৌকা মেরামত করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। 

গত মঙ্গলবার (৩অক্টোবর) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মা ইলিশ সংরক্ষন টাস্কফোর্সের মতবিনিময় সভায় বক্তারা বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এসময় তারা বলেন, মৌসুমি জেলেদের কারনে নিষেধাজ্ঞা শতভাগ কার্যকর করা হয় না। তারা অন্যান্য পেশায় থাকলেও নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে তারা ইলিশ মাছ শিকারে তাৎপর হন।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী অক্টোবরের ১২তারিখ থেকে ২ নভেম্বর মা ইলিশ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আসছে। মূলত বছরের এই সময়ে সাগরের ডিমওয়ালা ইলিশ সাধু পানিতে ডিম ছাড়ার জন্য বিভিন্ন নদ নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে প্রবেশ করতে থাকে। ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এই সময়ে সরকার ইলিশ মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। জেলায় নিবন্ধিত মৎস্য জেলে ৪৫৮৬জন রয়েছে। তবে এবছর ৩৭৫৭ জন জেলের জন্য চাল ৯৩. ৯৩ মেট্রিট টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জন প্রতি ২৫ কেজি করে চাল পাবে। ইতিমধ্যে উপজেলার অনেক ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হদুয়া, খোঁজাখালী, অনুরাগ, মগড়, চর বহরমপুর, বাদুরতলা, বড়ইয়া, চরপালট, এলাকার কিছু অসাধু জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করে রেখেছেন। তারা একাধিক কারেন্ট জাল ও দুই/তিনটি করে নৌকা সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে বিশাল একটা অংশ আছে যারা মৌসুমি জেলে। যারা সারাবছর অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকলেও মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে দাপিয়ে বেড়ান। যার কারনে প্রশাসনকেও নিষেধাজ্ঞা সফল করতে বেগ পেতে হয়। 

হান্নান চৌধুুরি নামের এক মৌসুমি জেলে বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় এক ঘন্টা ঠিকমত নদীতে জাল ফেলতে পারলে ৮-১০হাজার টাকা আয় করা যায়। কারন নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যায় আর ডিমওয়ালা হওয়ার কারনে ভালো দামে বিক্রি করা যায়। তাই অনেকেই এই লোভে পরে মা ইলিশ শিকারে নেমে পরে । যদি প্রশাসন জাল ও নৌকা নিয়েও যায় তাতে তেমন সমস্যা হয় না। আবার অনেকে মাছ বিক্রি না করে ককশিট ক্রয় করে তার ভিতর বরফ দিয়ে মজুদ করে রাখেন। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হলে তা বাজারে বিক্রি করা হয়। একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন প্রতিবছরই নিষেধাজ্ঞার পরেরদিনই বাজারে ইলিশ মাছে সয়লাব হয়ে যায়। এগুলো আসে মূলত মজুদ করা মাছ থেকেই কারন নিষেধাজ্ঞা শেষেই এত মাছতো আর একদিনে জেলেরা ধরতে পারে না। 

নিবন্ধিত জেলে মো. হেলাল হাওলাদার বলেন, মা ইলিশ শিকারে যে সকল অসাধু জেলে নদীতে নামেন তাদের মধ্যে বড় একটা অংশ থাকে মৌসুমি জেলে যারা মূলত জেলে পেশায় নিয়োজিত না। যারা নিবন্ধিত জেলে তারা বেশিরভাগই ঝুঁকি নিয়ে নদীতে নামতে চান না। কারন প্রশাসন ধরে সাজা দিলে জেলে কার্ডটি বাতিল হতে পারে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞায় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য নিবন্ধিত জেলেদের সরকারের পক্ষ থেকে চাল বিতরণ করা হয়। তাই আমাদের উচিত নিষেধাজ্ঞায় মা ইলিশ নিধন না করে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করা। 

স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর ইলিশ রক্ষার অভিযানের সময় মৌসুমী জেলেরা দলে দলে নদীতে জাল নিয়ে নেমে পড়েন। এরা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে নদীতে মা ইলিশ শিকার করেন। অনেক সময় দেখা যায় প্রশাসনের লোকজন নদীতে ধাওয়া দিয়ে একবাক থেকে অন্য বাকে যেতে না যেতেই তারা আবার নদীতে নেমে পড়েন। এদের প্রতিহত করতে না পারলে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানও সফল হবে না আর ইলিশ সম্পদেরও উৎপাদন বাড়বে না। 

ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় সরকার বদ্ধ পরিকর। নিবন্ধিত জেলেদের ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য নানান ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। তারপরও যারা ইলিশ শিকারে নদীতে নামবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews