মো. নাঈম হাসান ঈমন,ঝালকাঠি প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকুলে আঘাত হানবে এমন খবরে আতংকিত দক্ষিনের জেলা ঝালকাঠির নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের। জেলার রাজাপুর এবং কাঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদীর তীরে বড় একটি অংশে বেড়িবাঁধ না থাকায় দুশ্চিন্তার ভাজ পরেছে ঐ অঞ্চলের বাসিন্দাদের কপালে।
শনিবার (১৩মে) সকাল থেকে এ অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। প্রতিটি উপজেলায় রেডক্রিসেন্ট কর্মীরা সতর্কতামুলক মাইকিং শুরু করেছে। তবে জেলার নদী গুলোর পানি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।
রাজাপুর উপজেলার চর পালট এলাকা এবং কাঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদীর তীরে বেরীবাঁধ না থাকায় বিগত দিনও ঐ অঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছিলো। আর তাই ঘুর্নিঝড় “মোখা” আঘাত হানার খবরে বেরীবাঁধহীন এলাকার মানুষেরা বেশি আতংকিত।
এদিকে ঘুর্নিঝড় চলাকাকালীণ সময়ে মানুষের জানমালের নিরাপত্ত্বা দিতে এবং ঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় করনীয় সম্পর্কে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভা করেছেন বলে জানাগেছে। তবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের এসব সভাকে আনুষ্ঠানিকই বলছেন নিম্মাঞ্চলের বাসিন্দারা।
কাঠালিয়ার লঞ্চ ঘাট এবং রাজাপুরের চরপালট গ্রামের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘প্রতি বছর ঘুর্নিঝড় আসলেই শুনি ডিসি এবং ইউএনও স্যারেরা মিটিং করে। কিন্তু ঝড়ের পরে আমাদের খোজ তারা নেয়না। পক্ষে ভোট না দেয়া ভোটারদের ঠিকমতো ত্রানও দেয়না চেয়ারম্যন মেম্বাররা।’
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন থেকে গনমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। ‘জেলার ৪ উপজেলার ৬১টি স্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার সহ ৩৬৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সংকেত বাড়ার সাথে সাথে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দেয়া রয়েছে। এছাড়া সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ, চাল, শুকনো খাবার ও টেউটিন মজুদ রাখা হয়েছে।’
সিভিল সার্জন এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানিয়েছে, জেলা সদরে দুটি এবং সকল উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১ টি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।