মোঃ আশরাফুল ইসলাম খুলনা সদর প্রতিনিধিঃ
খুলনার পূর্ব রূপসা রেলস্টেশন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জাহিদুর রহমান এর বিরুদ্ধে মুসল্লী কর্তৃক ১৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে। এই ভুক্তভোগী ইমাম এখন চরম অসাহাথ্যের জীবন যাপন করছেন। ভুক্তভোগী ইমাম মাওলানা জাহিদুর রহমান বলেন আমি আলহাজ্ব মাওঃ জাহিদুর রহমান, পিতা-মৃত মফিজ গাজী, গ্রামঃজয়পুর, রুপসা, খুলনা, আমি দীর্ঘদিন অত্যন্ত সুনামের সহিত পূর্ব রূপসা রেলস্টেশন জামে মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করছি এবং সাথে সাথে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এর ফিল্ড অফিসার হিসেবে চাকুরী করেছি। সেই সুবাদে আমি নিজের এবং আমার মাধ্যমে কিছু গ্রাহকের টাকা নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এ আমানত রেখেছি, ইমামতির সুবাদে আমার পূর্ব পরিচিত ও মুসল্লী খাদেমুল ইসলাম,
হালাল পন্থায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখার ইচ্ছা পোষণ করে,
নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিঃ সম্পর্কে আমার কাছে তথ্য জানতে চাইলে আমি তাকে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড সম্পর্কে পুর্ন ধারনা নিতে বলি।অতপর তিনি খোঁজখবর নেন এবং গ্রাহকদের সাথে কথা বলে তাদের স্বচ্ছতা ও দ্বীনদার ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আমানত দারিতায় আশ্বস্ত হয়ে স্বেচ্ছায় নিউ বসুন্ধরায় টাকা রাখতে ইচ্ছা পোষণ করে আমার শরণাপন্ন হলে আমি আমার মাধ্যমে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিউ বসুন্ধরা রিয়েক্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান সাহেবের সঙ্গে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মালিক এবং গ্রাহক চুক্তিপত্র করে টাকা জমা রাখেন। এবং পরবর্তীতে কয়েক মাস মূল টাকার লভ্যাংশ গ্রহণ করে, কিন্তু হঠাৎ করে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের মালিক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান সাহেব দুদকের মামলায় কারাবন্দি হলে লভ্যাংশের টাকা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তখন খাদেমুল এবং তার পরিবার আমাকে অত্র টাকা ফেরত দিতে চাপ সৃষ্টি করে, অথচ তারা টাকা সরাসরি নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডই জমা রেখেছে, সুতরাং আমি উক্ত টাকা গ্রহন করি নাই। বরং টাকা রাখার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী মাত্র, এখন আমি তাদের এই টাকা কিভাবে ফেরত দিবো? আমি এক জন ইমাম মাত্র এতো টাকা ফেরত দেওয়ার মতন আর্থিক কোন সঙ্গতি আমার নাই। তথাপিও আমি তাদেরকে বুঝাবার চেষ্টা করেছি, এবং নিউ বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে যোগাযোগ রক্ষা করি। একান্ত নিরুপায় হয়ে কয়েক দফা নিজের পকেট থেকে খাদেমুলকে টাকা প্রদান করি। কারণ আমি কারো সাথে প্রতারণা করে কারো টাকা আত্মসাৎ করি নাই, ভুক্তভোগী ইমাম বলেন আমি শপথ করে বলতে পারি যে আমি আমার ব্যক্তি টাকা এবং আমার গ্রাহকদের জামানো নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কাছে রাখা আমানত গ্রাহকগণ যথাযথভাবে ফেরত পায় সেই চেষ্টা ও পত্যাশা করছি।সে জন্য মানববন্ধন , স্বারক লিপি প্রদান করে, সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করেছি, তথাপিও তারা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টি করে আমার এবং আমার পরিবার কেভীত সন্ত্রস্ত করছে, আমি এমতাবস্থায় আমার পরিবারের জনজীবনের নিরাপত্তার
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কামনা করছি, এবং গ্রাহকদের এই টাকা ফেরত পেতে ঊর্ধ্বতন মহলের আন্তরিকতা কামনা করছি।