বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ
বিশ্বনাথ পৌরমেয়র মুহিবুর রহমানের ভিডিও লাইভ কে কেন্দ্র করে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামীলগের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।এরি মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামীলগের সভাপতি আব্দুন নুর কে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সাময়িক বহিস্কারাদেশ দিয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। এ বিষয়ে ১৪/১০/২৩ ইং তারিখে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর।
সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ স্বাক্ষরিত দলীয় বিজ্ঞপ্তি হতে জানা যায়, গত ১৩/১০/২০২৩ ইং তারিখে দলছুট ও আওয়ামী লীগ বিরুধী তথাকথিত আওয়ামী লীগ নামধারী মেয়র মুহিবুর রহমান Meyor Muhibur Rahman নামীয় ফেসবুক পেইজে (আইডি) ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শংকর চন্দ্ ধর কে জড়িয়ে গঠনতন্ত্র বিরোধী বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আব্দুন নুর। সেই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র অমান্য হয়েছে, এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।এ জন্য তাকে সাময়িক বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।পনের দিনের মধ্যে জবাব না দিলে পরবর্তীতে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা ও গ্রহনের কথা বলা হয়েছে।
বিগত ১২ অক্টোবর ২৩ ইং বৃহস্পতিবার বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান আব্দুন নুর এর বাড়িতে যান। ভোলাগঞ্জ দক্ষিণ হতে কুমারপাড়া ক্লিনিক পর্যন্ত রাস্তা পাকা করণ নিয়ে বিভিন্ন জন ঘুষ বাণিজ্য করেছেন বলে একটি ভিডিও ১৩ অক্টোবর প্রকাশ করেন মুহিবুর রহমান। ভিডিওতে দেখা যায় পৌরমেয়র মুহিবুর রহমান, ও সভাপতি আব্দুন নুর মেম্বার অভিযোগ করছেন শংকর চন্দ ধর, সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এ পি এস অসিত রঞ্জনের মাধ্যমে এমপি মোকাব্বির খানের নিকট দেড় লক্ষ টাকা দেওয়ার এমন কিছু বক্তব্য। এবং কুমারপাড়া গ্রামের আশিক খান’র (ছখা)নাম উল্লেখ করে বলেন ওই রাস্তাটি পাকা করণ কাজের জন্য তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে ।এতে আশিক খান (ছখা) ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন।বাকী টাকা অন্যান্য জন দিয়েছেন রাস্তা পাকা করণ করতে ।এই টাকা লেনদেনের প্রমান তার হাতে রয়েছে।
এমন ভিডিও প্রকাশের পর পক্ষে বিপক্ষে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা প্রসমনে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণের নিরলস প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্ত রয়েছে। তারই জের ধরে উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সভাপতি আব্দুন নুর কে সাময়ীক বহিস্কার করা হয়।
ভিডিওতে টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযুক্ত আশিক খান ছখা’র কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমি কাউকে রাস্তার ব্যাপারে কোন প্রকার টাকা পয়সা দেইনি।
বহিস্কারাদেশ সম্পর্কে সভাপতি আব্দুন নুর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের এমন সিদ্ধান্তের কথা আমি জানি না।
এব্যাপারে শংকর চন্দ্র ধর বলেন, আমার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতির বক্তব্য ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মিথ্যা অপপ্রচারের অংশ। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং মেয়র মুহিবুর রহমান সহ যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন তারা যেন অবিলম্বে এমন হীন কাজ বন্ধ করেন।