জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রামঃ-
১৯.১০.২০২৩ বৃহস্পতিবার
কুড়িগ্রাম শহরের আরডিআরএস নামক এনজিও’র ভেতরের পুকুর থেকে ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ উল ফেরদৌস মামুন (২৮) ভাসমান লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য সহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল বুধবার কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (রাজারহাট আমলি আদালত) বিচারক লিটন চন্দ্র রায় এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে কুড়িগ্রাম শহরের আরডিআরএস নামক এনজিও’র পেছনের পুকুর থেকে ইঞ্জিনিয়ার মামুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের ছবরুল হকের ছেলে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করা মামুন গত ৯ অক্টোবর বাসা থেকে কুড়িগ্রাম শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে তার বাবা রাজারহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে পুলিশ গত ১৫ অক্টোবর রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরের দিন পুকুর থেকে মামুনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মামুন হত্যাকাণ্ডের শিকার নাকি অন্য কোনোভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে মাদক সংক্রান্ত লেনদেনের জেরে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে পুলিশ চার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতার পুলিশ সদস্যের নাম নুর মোহাম্মদ আপেল (বিপি ১১২৫)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাকে নজরদারিতে রাখার পর মঙ্গলবার গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতার অপর তিন আসামি হলেন- সোহেল রানা (২২), মমিনুল ইসলাম (১৯) এবং ফেরদৌস প্রান্ত (১৯)। এদেরকে গত রবিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোহেল রানা কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে, মমিনুল ইসলাম হাসপাতালপাড়ার রবিউল ইসলাম রবির ছেলে এবং ফেরদৌস প্রান্ত একই এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে।
এদিকে মামুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার তদন্তে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।