নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
৬ষ্ঠ ধাপে দেশ ব্যাপী ২১৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল অনুযায়ী, চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীরা ৩ জানুয়ারি সোমবার পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার । ৩১ জানুয়ারী ২০২২ ইং সোমবার ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট বিভাগের দুই জেলায় মোট ২৫টি ইউনিয়নে ৬ষ্ঠ ধাপে সম্পন্ন হবে নির্বাচন। সিলেটের ৫টি উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়ন ও হবিগঞ্জের ২টি উপজেলায় মোট ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।
সিলেট জেলার পাঁচ উপজেলার মধ্যে ওসমানী নগরের ৮টি, বিশ্বনাথে ২টি, দক্ষিণ সুরমায় ৩টি গোয়াইনঘাটে ৩টি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১টি ইউনিয়ন রয়েছে তালিকায়। পাঁচ উপজেলার যে সকল ইউনিয়নে ৬ষ্ঠ ধাপে নির্বাচন হবে সেগুলো হল; ওসমানীনগরের উমরপুর, সাদিপুর, পশ্চিম পৈলনপুর, বুরুঙ্গাবাজার, গোয়ালা বাজার, তাজপুর, দয়ামীর ও উছমানপুর। বিশ্বনাথের লামাকাজি ও খাজাঞ্চী। দক্ষিণ সুরমা’র মোল্লার গাঁও, তেতলী ও কামাল বাজার ইউনিয়ন, গোয়াইঘাটের পূর্ব আলীরগাঁও, পশ্চিম আলীরগাঁও ও মধ্য জাফলং। কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর (পশ্চিম) ইউনিয়ন।
এদিকে হবিগঞ্জের ২টি উপজেলার যেসকল ইউনিয়নে নির্বাচন হবে সেগুলো হল; বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট, পুটিজুরি, সাতকাপন, বাহুবল সদর, লামাতাসী, মিরপুর, ভাদেশ্বর ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নে।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিলেটের সব ক’টি উপজেলার হাট বাজার ও ইউনিয়নের সর্বত্র সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী আমেজে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অজো পাড়া গাঁয়ে একটাই আলোচনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। কে হবেন আগামী দিনের চেয়ারম্যান? কারা নতুন করে রচনা করবেন স্বপ্নীল ইতিহাস? সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। গতকাল ১৮ ডিসেম্বর ষষ্ঠ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পরই আলোচনায় যোগ হয়েছে ইভিএম পদ্ধতি। গ্রাম গঞ্জের সহজ-সরল অধিকাংশ ভোটাররা ইলেকট্রনিকস মেশিনে ভোট প্রয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না। সরেজমিনে অনেক ভোটারের সাথে আলাপ করে জানা গেছে তাদের শঙ্কার কথা। তারা এমনটাই জানিয়েছেন তাদের নির্দেশনা শিখিয়ে দিলে তারা শিখে নিবেন। অনেককেই খুশি প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।এক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা ইভিএম এ এর জন্য সংকুচিত নন। তারা আগ্রহ ভরে জানাচ্ছেন বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিধায় সেক্ষেত্রে তারা কেন থাকবেন পিছিয়ে। একবার ইভিএম পদ্ধতিতে কাজটি সমাধান করলে ভবিষ্যতে আর কোন সমস্যা হবেনা। কেউকেউ ইভিএম এ ভোট কারচুপির শঙ্কা ও প্রকাশ করেন। তবে ৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচনের সমাপ্তি যেন সংঘাত সহিংসতা ছাড়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন হয় এমনটাই জানিয়েছেন অনেকে।