শেখ সফিকুল ইসলাম সফিক বানিয়াচং হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের আবু ছালেহ মিয়ার ৪ছেলে।৪ মেয়ে ৮ জন ছেলে মেয়ের মধ্যে সবার ছোট মোহাম্মদ আলী (৩মাস বয়সের শিশু)
ঘুমন্ত শিশু মোহাম্মদ আলীকে পুকুরে ফেলে হত্যা করার কথা স্বীকারোক্তি দিয়েছে আপন মামী তুলনা বেগম (২৫) ।শনিবার (২৯ মে) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদার আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে সে। তুলনা বেগম আদর্শ গ্রামের আল আমিন এর স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল ৮টায় শিশু মোহাম্মদ আলীকে, ঘরে রেখে বাথরুমে যান গর্ভ ধারিণী মা।
এসে দেখেন তার শিশু সন্তান ঘরে নেই। অনেক খুজা খুজি করার পর শিশুর মৃতদেহ ভেসে উঠে পার্শ্ববর্তী পুকুরে। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ সুরতহাল তৈরী করে লাশ মর্গে প্রেরণ করে এবং সন্দেহমূলকভাবে মামী তুলনা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সে হত্যার করেছে স্বীকার করে। তুলনা বেগমকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায় হতভাগা শিশুর মা ৮ সন্তানের জননী, শিশুর বাবা অন্যের বাড়িতে জীবিকার জন্য কাজ করে। তাদের কোন বাড়ি ঘর বা জমি নেই। শিশুটির মা তার ভাইয়ের ঘরের পাশের লাগা একটি এক চালা ভাড়া করা ঘরে মাটিতে বিছানা করে কষ্টে দিন পাত করে থাকেন।
ঘাতক মামীর এক বছরের মেয়ে শিশু অন্য দিকে মৃত শিশুর মায়ের ৮ সন্তানের মধ্যে ৪ টি ছেলে সন্তান থাকায় এবং বাচ্চার নানী মেয়ের ঘরের সন্তানদের বেশি আদরযত্ন করার কারণসহ পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাচ্চার মায়ের সাথে কিছুদিন আগে ঝগড়া করে। সে ঝগড়ার রেশ ধরেই শিশু সন্তান মোহাম্মদ আলীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ হলে নিন্দার ঝড় উঠে।
এ বিষয়টি বানিয়াচং থানা পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিশুর হত্যাকারি কে সনাক্ত করায় বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেনের, প্রশংসা হাট-বাজারে মানুষের মুখে মুখে
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন এশিয়ান এক্সপ্রেস কে জানান, যে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে আমরা চেষ্টা করে থাকি মূল অপরাধীকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাই ।