লালমনিরহাট প্রতিনিধি.
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একটি মামলা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মাহমুদুন-নবীর বিরুদ্ধে ‘মামলা বাণিজ্যের’ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবীকে প্রত্যাহারের দাবিতে ৪৮ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
ওই মামলাটি দায়েরের সাড়ে ৭ মাস পর এমন অভিযোগ উঠলো ওসির বিরুদ্ধে।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষক দলের আয়োজনে সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় স্থানীয়রা এতে অংশগ্রহন করে। প্রায় ২ ঘন্টা এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আফজাল হোসেন মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নুরন্নবী খন্দকার কাজল, সদস্য সচিব সোহেল তালুকদার, ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল নোমান, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ওবায়দুল হক, কৃষক দলের আহবায়ক আমিনুর রহমান, সদস্য সচিব মতিউর রহমান মতি প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ওসি ও বাদির যোগসাজসে মামলা রেকর্ড করে আমাদের কৃষক দলের ইউনিয়ন সভাপতি সহ নিরীহ অনেক মানুষকে আসামি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া রেকর্ডটি প্রমাণ করে মামলার বাদি ও ওসি টাকার জন্য মামলা বাণিজ্যে মেতেছেন। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যদি ওসিকে প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির ডাক দিবো।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক আমিনুর রহমান বলেন, ওসি ও বাদির যোগসাজসে মামলা রেকর্ড করে আমাদের কৃষক দলের ইউনিয়ন সভাপতি সহ নিরীহ অনেক মানুষকে আসামি করা হয়েছে। আমরা ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যদি ওসিকে প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসুচির ঘোষণা দিবো।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন-নবী বলেন, মানববন্ধনে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই হাতীবান্ধা কৃষি ব্যাংকের সামনে আওয়ামী লীগের একটি মিছিলের ভিডিও ধারণ করার সময় হামলার শিকার হন সাংবাদিক আব্দুর রহিম। এ ঘটনায় গত ৩ মার্চ ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়া ওসি ওই দিনই মামলাটি নথিভুক্ত করেন। সেই মামলায় বিএনপির পদধারী ২৩ নম্বর আসামি মমিনুর ইসলাম মমিন উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি ও ৪৫ নম্বর আসামি সাহিনুর রহমান ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক দলের সভাপতি। এছাড়া অনেক নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাকে কেন্দ্র করে মামলার বাদির একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই রেকর্ডে হাতীবান্ধা থানার ওসির মামলা বাণিজ্যের কথোপকথন ভাইরাল হয়। এরপর থেকে উপজেলা শহরজুড়ে চলে আলোচনা সমলোচনার ঝড়।