নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইল সদর উপজেলার কৃষ্ণ লতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক ও পরিছন্নতা কর্মি নিয়োগে ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা গেছে সদর উপজেলার সুরাজ মল্লিক ও সুমন বিশ্বাস দুই জনের নিকট হতে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে অফিস সহায়ক ও পরিছন্নতা কর্মি পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ পরিক্ষার আগে প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার হালদার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহারিয়ার আলম মুক্ত এদের দুই জনের নিকট হতে ১০ লাখ করে মোট ২০ লাখ টাকা চুক্তি হয় সূত্রে জানা গেছে। অগ্রিম দেওয়া হয় ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা। চুক্তি মোতাবেক নিয়োগ পরিক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করানো হয়৷ নিয়োগ পরিক্ষার পর পর পাস হয়ে যাওয়ার সাথে বাকি ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা তুলে দেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মুক্তর কাছে। খুশি মনে নিয়োগ পরিক্ষার ফলাফল শীট সহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সাক্ষর করে দেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। সম্মানি নেওয়ার নামে মোটা অংকের ঘুষ পেয়ে নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা ও আনন্দচিত্তে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কাগজ পত্রে সাক্ষর দেন। নিয়োগ পরিক্ষার দিনেই সর্বত্র জানা জানি হয়ে যায় ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সুরাজ মল্লিকের নিকট হতে ১০ লাখ এবং সুমন বিশ্বাসের নিকট হতে ১০ লাখ মোট ২০ লাখ টাকায় ২ টি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে এদের সাথে চুক্তি করা হয়েছিল। তাই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে করোনাকালীন সময়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যার কারনে কঠোর লগডাউনে ঘর থেকে বের হতে না পেরে অনেকে আবেদন করতে পারেনি। এই সুযোগে নিজেদের খামখেয়ালী ভাবে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সিংঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের সাবেক ওয়ার্ড মেম্বর অশোক বিশ্বাস বলেন আমার ছেলে চাকরির জন্য আবেদন করছিল। অমি টাকা দিতে না পারায় হয়নি, মুক্ত অমাকে বলছে দশ লাখ টাকা দিলে তোমার ছেলের চাকরি হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার হালদার জানান, নিয়োগের কোন টাকা আমি হাতে করে নেইনি। সব টাকা সভাপতি নিয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি শাহারিয়ার আলম মুক্ত বলেন, সামান্য কিছু টাকা নেওয়া হয়েছে। এ টাকা নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তাদের দেওয়া লাগে।
স্থানীয় সচেতন মহল কৃষ্ণ লতা বালিকা বিদ্যালয়ের মত সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের এহেন নিয়োগ বানিজ্য কোন ভাবে মেনে নিতে পারছে না। এই নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এহেন নিয়োগ বাতিল পূর্বক মেধাবীদের নিয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।