নড়াইল প্রতিনিধি: প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বহাল তবিয়তে রিপন শিপন। আরও শক্ত করে দিলেন বেড়া। গত ০৮/০৬/২০২১ ইং তারিখে বসত বাড়ির প্রবেশ পথে বেড়া সাহায্য চেয়েও পাচ্ছেনা অবরুদ্ধ তিনটি পরিবার শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নড়াইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ঘটনা তদন্তে স্থানীয় ইউ,পি চেয়ারম্যান ও শাহবাদ ইউনিয়ন পরিষদের নায়েব কে ০৯/০৬/২০২১ ইং তারিখে ঘটনা তদন্তের জন্য ঘটনা স্থলে পাঠানো হয়। তারা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সরানোর জন্য নির্দেশ দেন।
তাদের এই নির্দেশনাও মানছে না রিপন ও শিপন শীল । তারা চলে আসার পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন অভিযুক্তরা। আরও শক্ত করে দিয়েছে বেড়া। যাতে বাড়ি থেকে কেউ বাইরে যেতে না পারে। আজ সেই বন্দিদশার ১৮ তম দিন। ৯/০৬/২০২১ তারিখের জেলা প্রশাসনের তদন্তের পর পার হয়ে গেছে ১৮ দিন, বেড়া সড়ানো হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউ পি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্নার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, আমি এবং নায়েব সাহেব জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ফোন পেয়ে গত ০৯/০৬/২০২১ তারিখে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রবেশ পথের বেড়া সরানোর জন্য বলে এসেছিলাম, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম বেড়া সরানো হয়নি ।
এ বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। এ ঘটনায় চরম আতঙ্কে দিন কাটছে অবরুদ্ধ ভুক্তভোগী পরিবার। সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, মামলায় পরাজিত হওয়ার আশংকায় ০৮/০৬/২০২১ তারিখে সকাল সাতটার দিকে রিপন কুমার শীল ,শীপন কুমার শীল সহ অজ্ঞাত দশ বারো জন সন্ত্রাসী আমাদের কেনা জমিতে প্রবেশ করে আমাদের যাতায়াতের একমাত্র পথটি সিমেন্টের খুটি ,বাশেঁর বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়, আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। কাজল কুমার শীল এর স্ত্রী মমতা মজুমদার কে শারিরীক ভাবে হেনস্তা করে এবং মায়ের সাথে খারাপ আচরনের প্রতিবাদ করলে কাজল কুমার শীল এর একমাত্র ছেলে জয় (১৪) কে সন্ত্রাসীরা মারধর করে।
ভুক্তভোগী পরিবার গুলো জানায় আমরা এক ধরনের বন্দি জীবন-যাপন করছি। আমরা স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের পথের জমি ফেরত চাই।
স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান ,এই জমি আজ প্রায় ২৫ বছর যাবত কাজল কুমার শীল ও তার শরীকরা স্বপন ও শংকরের কাছ থেকে কিনে পথ হিসেবে ব্যবহার করছে । এ জমি নিয়ে মামলাও আছে শুনেছি । আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম পথটি রিপন , শীপন বহিরাগত কিছু লোক সাথে নিয়ে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছে ।
এ ব্যপারে শাহবাদ ইউনিয়নের বিট অফিসার এস আই আমির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সকালে সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তারা দুই পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলে আসছে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।