মো. নাঈম ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে মুজিববর্ষের উপহার আশ্রায়ন প্রকল্পের নির্মাণধীন ১২টি ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। উপজেলার ৪নং গালুয়া ইউনিয়নের গালুয়াদুর্গা পুর গ্রামে পূর্ণিমার জোয়ারের পানি ডুকে এ ঘটনা ঘটে। রাজাপুর উপজেলা প্রশাসনের দাবী বন্যার কারনে, স্থানীয়দের দাবী জমি নিচু হওয়ায়। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সরকারের এমন মহতী উদ্যোগ এখন ভেস্তে যেতে বসেছে।
রাজাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যাদের ঘর নেই জমি নেই তাদের জন্য মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় রাজাপুর উপজেলায় ৩৩৩ টি পরিবারকে এ সুবিধার আওতায় আনা হবে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণের ব্যয় রাখা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ১১৫ টি গৃহ নির্মাণ শেষে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সরাসরি নির্মাণ কাজের তত্তবধান করেন।
রাজাপুর উপজেলার গালুয়াদুর্গাপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় গোলাম মোস্তাফ, মিয়া আব্দুল খলিল, দুলাল গাজী, মাওলানা ওহিদুল ইসলাম কাছ থেকে জানা গেছে, পোনা নদীর পাড়ে নিচু জমিতে স্বাভাবিক জোয়ারেই পানিতে ডুবে যায়। এই নিচু জায়গায় আষাঢ়, শ্রাবন ও ভাদ্র এ তিন মাস সব সময় পানিতে ডুবে থাকে। পূর্ণিমান জোয়ারের স্রোতে নির্মাণাধীন স্থানে পানি উঠে এবং ঘরের ফাউন্ডেশন না থাকায় নিচের বালু পানিতে ভেসে গিয়ে ১২টি ঘরের বারান্দার বিভন্ন অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। নাম মাত্র বালু ভরাট করে সাথে সাথে ইট বিছিয়ে নির্মাণ কাজ করায় এমনটা হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবী। এছাড়াও বড়ইয়ার চল্লিশকাহনিয়ায় একটি গৃহের আংশিক ভেঙ্গে গিয়েছিল যা ইতিমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। পানি উঠেছে অন্য গুলোতেও। কাজের মান খারাপ বলেও তারা অভিযোগ তুলেন।
অপরদিকে যাদের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে তারা জানায়, জমি নিচু হওয়ায় সামান্য জোয়ারেই ঘরে পানি উঠে। আষাঢ়, শ্রাবন ও ভাদ্র এ তিন মাস এখানে কিভাবে থাকবো এ নিয়ে এখন দুর্শ্চিন্তায় আছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, বন্যার কারনেই পানি উঠে কয়েকটি ঘরে বারান্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে সেগুলি মেরামতের কাজ শুরু করেছি।