নড়াইল প্রতিনিধি: সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা:) লি: নড়াইল শাখা ম্যানেজারের আপত্তিকর প্রস্তাবের প্রতিকার এবং ঢাকা থেকে স্বামীর বুকিং করা মাল বুঝে না পাওয়ায় নড়াইল সদর থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক নারী। কুরিয়ার সার্ভিসের নড়াইল শাখার দায়িত্বে থাকা ওই ম্যানেজারের নাম সঞ্জয় কুমার। তার বাবার নাম বিজয়।
অভিযোগকারী নারীর গ্রামের বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায়। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে তাঁর স্বামী গত ২৩ মে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা:) লি: ঢাকার ধামরাই শাখা থেকে দুই বস্তা বাসা বাড়ির মালামাল ও একটি ষ্টিলের র্যাক বুকিং করেন। বুকিং এর ট্রাকিং নাম্বার ৭০১৬০০০০১৪৮৩০১। যা সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের নড়াইল শাখা থেকে ডেলীভারী নেবার কথা ছিল সেই নারীর। গত ২৪ মে ভুক্তভোগী নারীর মোবাইলে সুন্দরবন কুরিয়ার থেকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় ঢাকা থেকে বুকিং কৃত তিনটি পন্যই নড়াইল রুপগঞ্জ শাখা থেকে নিয়ে যাবার জন্য। ২৬ মে পন্যগুলি আনতে গেলে পার্সেল সেকশনের দায়িত্বে থাকা গনেশ নামের একজন তিনটি মালের মধ্যে দুইটি মাল বুঝে দিয়ে বলেন বাকি এক বস্তা মাল খুজে পাচ্ছি না। খুজে পেলে পরে ফোন করে জানানো হবে। কিন্তু এ বিষয়ে নড়াইল সুন্দরবন অফিস থেকে কোন যোগাযোগ না করা হলে হারিয়ে যাওয়া পন্যের গ্রহীতা ওই নারী নড়াইল শাখা ম্যানেজার সঞ্জয় কুমারের সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় সরলতার সুযোগ নিয়ে সঞ্জয় কুমার আপত্তিকর প্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা:) লি: নড়াইল শাখা ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার আপত্তিকর প্রস্তাবের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, একজন মহিলার সাথে এক বস্তা মাল হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা তাঁর পন্যটি খুজে পেলে বুঝিয়ে দেব।
নড়াইল সদর থানাধীন রুপগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম অভিযোগের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা:) লি: নড়াইল শাখা ম্যানেজারের নামে এক নারী লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য: সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা:) লি: নড়াইল শাখার পার্সেল সেকশন পরিচালিত হয় কিছু অল্প শিক্ষিত মানুষ দ্বারা। এ মধ্যে গনেশ নামের একজন শহরের বিভিন্ন গলিতে ভ্যান চালায়। এর ফাকে প্রতিষ্ঠানটির শাখা ম্যানেজার সঞ্জয়ের সহযোগীতায় পার্সের সেকশনে দায়িত্ব পালন করেন। রাজিব নামের আরও একজন প্রতিষ্ঠানের একই দায়িত্বে আছেন। অভিযোগ আছে পন্য ডেলীভারী নেবার সময় তাকে সন্তোষজনক বকশীষ না দিলে গ্রাহককে হয়রানীর শিকার হতে হয়। খোজ নিয়ে যানা গেছে, দেশের বৃহৎ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা:) লি: এর কিছু অসৎ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নড়াইল শাখায় নিজের বাবা, স্ত্রী ও কাছের মানুষদের চাকরী করার সুযোগ করে দিয়েছেন সঞ্জয়। এ ছাড়া তিনি নড়াইল জেলা পরিষদেও অফিস সহকারী হিসেবে বহাল তবিয়তে চাকরী করে যাচ্ছেন। এলাকার সচেতন মহলের দাবি দেশের অন্যতম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা:) লি: এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বিষয়টি প্রতিকারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তা নাহলে প্রতিষ্ঠানটি সুনাম হারাবে বলে মনে করেন তাঁরা।