1. admin@asianexpress24.com : admin :
  2. asianexpress2420@gmail.com : shaista Miah : shaista Miah
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বাউল সুলতান আহমদ আজাদ এর শোক সভা সম্পন্ন নাগেশ্বরীতে ৭ কেজি গাঁ*জাসহ ২জনকে গ্রেফ+তার করেছে পুলিশ হাতীবান্ধায় বর্ব*রোচিত হ*ত্যাকাণ্ডের শিকার হাসেনুরের লা*শ ফেরত দিল বিএসএফ বিশ্বনাথে সাকিব কল্যাণ ট্রাস্টের ঢেউটিন বিতরণ হাতীবান্ধা সীমান্তে বিএস*এফে*র গু*লিতে যুবকের মৃ*ত্যু নিয়ে ধুম্র*জাল দশম জন্মদিনে সোহানী আহমদ আলীজা লোহাগড়ায় বিনামুল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্ধোধন কালবৈশাখী ঝড়ে ফুলবাড়ীতে গাছ চাপায় এক নারী নিহ*ত গণহ*ত্যার প্রতি+বাদে বিশ্বনাথে মার্চ ফর গা*জা ও প্রতি*বাদ সভা অনুষ্ঠিত উদ্বোধন হলো বুড়িমারীতে আপডেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার নরসিংদীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান নিহ*ত নরসিংদীতে জমি দখ*লের চেষ্টায় বাড়িঘরের হাম*লা-ভাঙচুর ফুলবাড়ীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৩১ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ফেসবুকে সম্মানী ব্যক্তিদের টার্গেট করে আপত্তিকর, অ*শ্লীল পোস্ট করায় স্কুল শিক্ষিকা বহি*ষ্কার বিশ্বনাথের ‘খাজাঞ্চী একাডেমী’তে প্রবাসী সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সুনামগঞ্জে পাহাড়ী ঢলের পানি অব্যাহত:- ঝুকিতে বোরো ফসল

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৫৬ Time View

রুহুল আমীন তালুকদার, সিলেট :
সুনামগঞ্জে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারাসহ সকল জেলার সকল নদী গুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে দেখার হাওর সহ জেলার সকল হাওরের বোরো ফসল।

ফসল রক্ষার্থে কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে দিনরাত হাওর রক্ষা বাঁধ মেরামত করে যাচ্ছেন।
সঠিক সময়ে হাওরের বাঁধ মেরামত না করায় অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে বাঁধ ভেঙ্গে একের পর এক হাওরে পানি প্রবেশ করছে। এভাবে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকলে বোরো ফসল হানীর শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
হাওর অঞ্চলের কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে দিনরাত বাঁধ মেরামতে কাজ করে যাচ্ছেন। জীবন জীবিকার সন্ধিক্ষণে বাঁধ রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের পাশাপাশি সর্বসাধারণকে এগিয়ে আসতে আহবান জানিয়েছে জেলা প্রশাসন জাহাঙ্গীর আলম।
এ রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি ৫.৯৯ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে। বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থায় থাকা এই পানি আরও বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে বলে আগামী ২৪ ঘন্টা সময়কে সুনামগঞ্জের জন্য বিপজ্জনক সময় উল্লেখ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল শনিবার সকালে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বাঁধ ভেঙে নজরখালি টাঙ্গুয়ার হাওরে ঢুকতে শুরু করে। এতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে প্রায় ৩০০০ হাজার একর জমির ফসল।
সোমবার বিকেলে শাল্লা উপজেলার দাঁড়াইন নদীর পানি উপছে বাঘার হাওরে প্রায় ৫০০ একর জমির ফসল তলিয়ে যায়। পানি উপছে তলিয়ে গেছে দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের একটি হাওর, সদর উপজেলার ছোট কাংলার হাওরসহ ছাতক উপজেলার কয়েকটি ছোট ছোট হাওরের ফসল পাহারি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে ঢলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পানির চাপে জেলার শান্তিগঞ্জ, দিরাই, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার অনেকগুলো বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের পাউবোর তুফানখালি বাঁধ, ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে বরাম হাওরের বোরো ফসল। তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরের আনন্দনগর বাঁধ দেবে গেছে। এই বাঁধ নতুন করে সংস্কার করছেন পিআইসির লোকজন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার শালদিকা, রাঙ্গামাটি, বেদাখালিসহ একাধিক বাঁধে ফাটল দেখা দেয়ায় সোমবার রাতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্ট গ্রামের চাষীরা। বিশ্বমম্ভরপুর উপজেলার হরিমন ভাঙ্গা ফাটল দেখা দেয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে করচার হাওরের প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
এছাড়াও জামালগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা ও জগন্নাথপুর উপজেলার অনেক বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। এসব বাঁধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্ট উপজেলার মসজিদের মাইকে মাইকিং করে বাঁধ মানুষকে আহবান করা হচ্ছে। জীবন জীবিকার একমাত্র ফসল ঘরে তুলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় সময় পার করছেন হাওর পাড়ের কৃষককুল।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরের পাড়ের কৃষক রয়েল আহমদ বলেন, গত ৩দিন ধরে বাঁধে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছি। স্থানীয় কৃষকরা বাঁধ পাহাড়া দিচ্ছেন। বাঁধ রক্ষায় দিনরাত কাজ করছেন। যেকোনো সময় ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে।
তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওর পাড়ের কৃষক ময়না মিয়া বলেন, সময় মতো বাঁেধর কাজ শেষ না হওয়ায় আজ এই অবস্থা। বাঁধ ভেঙ্গে হাওরে পানি ডুবলে আমরা যাবো কোথায়। ছেলেমেয়ে নিয়ে কি করে বাঁচবো। হাওরের ফসল হানি হলে আমাদের কে দেখবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু বাবুল বলেন, নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ শুরু ও শেষ না হওয়ায় আজ হাওরের এমন দশা। অনিয়ম দুর্নীতির মানুষের ফসল ঝুঁকিতে রয়েছে। যে ভাবে নদীর পানি বাড়ছে এটি অব্যাহত থাকলে হাওর এলাকায় মানবিক বিপর্জয় দেখা দিবে।
আগামী ২৪ ঘন্টাকে সুনামগঞ্জের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সময় বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, পানি বাড়লে পরিস্থিতি কঠিন দিকে যাবে। মসজিদের মাইকে মাইকিং করে বাঁধ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে সুনামগঞ্জর ধর্মপাশা উপজেলার কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শন করে ড. মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, ফসল রক্ষায় স্থানীয় কৃষকদের সাথে নিয়ে বাঁধে প্রশাসন কাজ করছে। ইতোমধ্যে ৫০০ হেক্টর জমি নিমজ্জিত হয়েছে। যদি পানি ধীরে ধীরে নেমে যায় তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমবে। আর যদি পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে তাহলে আমরা বিপদে পড়ে যাবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews