সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজারের তুকুবপুর নামক স্থানে বুধবার ৭ জুন ২০২৩ ইং সকালে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১১ জনসহ মোট ১৪ জন নিহত এবং গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন।
নিহতরা হলেন:- সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ মিয়া (৫০), মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নূর (৫০), সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৭), শমসের নুরের মেয়ে মেহের (২৪), পাথারিয়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫), গচিয়া গ্রামের বারিক উল্লার ছেলে সিজিল মিয়া (৫৫), মধুপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে দুদু মিয়া (৪০), একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাদশা (২২), শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৫), একই উপজেলার বাবনগাঁ গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহিন মিয়া (৪০), আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিছ মিয়া (৬৫), তলেরতন গ্রামের মৃত আওলাদ উল্লার ছেলে আওলাদ হোসেন (৬০), হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার হলদিউড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৫) ও নেত্রকোনা জেলার ভারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ মিয়া (৩০)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, সিলেট নগর থেকে পিকআপে (সিলেট-ন ১১-১৬৪৭) করে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক সিলেট থেকে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে পিকআপ দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার তুকুবপুর নামক স্থানে পৌঁছলে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-০৭৮০) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানাপুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাশ বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর জেনেছি।’