রুহুল আমীন তালুকদার, সিলেটঃ
সিলেটে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ খুনের মামলায় ৪ আসামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
৩০ মার্চ বুধবার সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭) ও ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫), সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) হারুন অর রশিদ (২৫)। খালাস দেয়া হয়েছে নগরীর রিকাবীবাজার এলাকার সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বিজ্ঞ আইনজীবী মুমিনুর রহমান টিটু জানান, অনন্ত বিজয় দাশ খুনের মামলার ৫ জন আসামীর মধ্যে রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলো আবুল খায়ের রশীদ আহমদ এবং সাফিউর রহমান ফারাবী। অপর তিন আসামী পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নগরীর সুবিদবাজারের নুরানি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে কয়েকশ’ গজ দূরে অনন্ত বিজয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার বাংলা টিম। নিহতের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদি হয়ে অজ্ঞাত চারজনকে আসামী করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।
২০১৭ সালের ৯ মে সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। এদের মধ্যে দুই জন কারাগারে ও তিনজন পলাতক রয়েছে। অপর আসামী মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী গ্রেপ্তারের পর অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করেছে মর্মে আদালতে স্বীকার উক্তিমূলক জবাবন্দী দিয়েছিলেন। কারান্তরীণ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মান্নান রাহী মারা যান।
অনন্ত বিজয় দাশ খুনের মামলাটি ২০১৭ সালের ২৩ মে অভিযোগ গঠনের পর ২০২০ সালে বিচারার্থে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে আসামীপক্ষে তিনজন সাফাই সাক্ষ্য প্রদান করেন।
ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ফারাবীকে ইতিপূর্বে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলায় নিহত বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত।