মোঃ মনিরুল ইসলাম,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাচলিয়া রানীনগর গ্রামের সাজমিন আক্তার টুনি নামের এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে( অন্তসত্তা) অবস্থায় জোরপূর্বক তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী সাজমিন আক্তার টুনি বাদী হয়ে ২৭ ই ফেব্রুয়ারি সলঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।জানা যায় দীর্ঘদীন সম্পর্কে থাকার পর গত বছর ২৩ই জানুয়ারী ঢাকায় চাকরিরত অবস্থায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাজমিন আক্তার টুনি ও একই ইউনিয়নের পাচলিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আমিরুল ইসলাম(২৬) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।বিয়ের দীর্ঘ ৬ মাস পর দুজন বাড়িতে এলে পারিবারিক ভাবে তাদের মেনেও নেওয়া হয়। কিছুদিন পর শুরু হয় প্রতিবন্ধী সাজমিন আক্তার টুনির শশুর বাড়ী থেকে যৌতুকের জন্য চাপ।যৌতুক দিতে অক্ষম হলে চলে শারিরীক নির্যাতন । এবং তা শেষ হয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাজমিন আক্তার টুনিকে ২ মাসের অন্তরসত্তা অবস্থায় তালাকের মাধ্যমে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাজমিন আক্তার টুনি বার বার তার শশুর বাড়ীর লোকজনকে তার অন্তসত্তার কথা বললেও তারা বিষয়টি আমলে নেন নি।
এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী সাজমিন আক্তার টুনি জানান-আমি জন্মের ৩ বসর পর থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী । আমার পক্ষে এই সন্তানকে ভরনপোষন সম্ভব নয়।আর সন্তান জন্মের পর তার বাবার পরিচয়ের প্রয়োজন আছে। আমি আমার সংসারে ফেরত যেতে চাই আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ এর দিক বিবেচনা করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম জানান-তার পরিবার থেকে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটিই সে মেনে নেবে।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আব্দুল কাদের জিলানী মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।