সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে দলবদল দেশের রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়।নীতি-আদর্শের কথা ভুলে ফায়দা লুটতে অতীতে অনেকেই যোগ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলে।যদিও বিএনপি ও জামায়াত- শিবির ছেড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ শুরু হয় ২০০৯ সালে। অনেকেই জামাত-বিএনপি থেকে বর্তমানে গা বাঁচাতে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের ওপর ভর করে বহু নেতাদের সাথে ছবি তুলে নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ ও দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান এক দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ার এই প্রক্রিয়া দৃশ্যমান একটু বেশি হচ্ছে। ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘জামায়াত-শিবির ও বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে নয়।’ কিন্তু তার পরও অনুপ্রবেশ যেনো থেমে নেই। নানা প্রক্রিয়ায় জামায়াত-শিবির-বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের পর অনেকে পদ-পদবি বাগিয়ে নিচ্ছেন।
এদিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সাইদুর রহমান লাবলুর ছেলে জাহিদ হাসান রাজু হাটিকুমরুল ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।জানা যায়,সাইদুর রহমান লাবলু ২০০৯ সালে সলঙ্গা থানা বিএনপিতে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান।লাবলু জামায়াত বিএনপি নাশকতা মদত দাতা এবং আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী ও আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের চেষ্টায় মাষ্টার মাইন্ড ছিল। তার নেতৃত্বে ২০১২ সালে গনমাধ্যম কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা,ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে। তখন তার বিরুদ্ধে সলঙ্গা থানায় অভিযোগও করা হয়েছিলো।
তার ছেলে রাজু ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতির পদ পাওয়ায় আওয়ামী পরিবারে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনুপ্রবেশকারী রাজুর বিরুদ্ধে জেলা যুবলীগের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছে স্থানীয় আওয়ামী সদস্যরা।স্থানীয় আওয়ামী বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন- বিএনপি নেতার ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পেয়ে বহু নেতাদের সাথে ছবি তুলে নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ ও দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন। যে সব ছবি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এবিষয়ে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহেল কাফি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন-রাজুর বাবা একজন বিএনপির একনিষ্ঠ নেতা। তার ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা । এমন অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের দলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল বলেন, আমার বিষয়টা জানা নেই তবে এমন কোন তথ্য প্রমান পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক বলেন- রাজুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে। তবে কোন প্রকার জামায়াত -বিএনপির নেতা কর্মীর পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী যুবলীগের কোন পদে থাকতে পারে না। আমরা প্রতিটি কমিটির নেতাদের নির্দেশ দিয়েছি এমন থাকলে দ্রুত তাদের বহিস্কার করতে।