নড়াইল প্রতিনিধি ঃ
নড়াইল সদর উপজেলার সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এবং পিছনে বালু দ্বারা ভরাট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে অনিয়ম দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ২০২২ – ২০২৩ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ( কাবিটা – নগদ অর্থ) কর্মসূচির আওতায় গৃহীত উন্নয়ন মূলোক খাতে সদর উপজেলার সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এবং পিছনে বালু দ্বারা ভরাট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা
বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ কৃত অর্থের কোন কাজ দৃশ্য মান না হওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে একই ইউনিয়নের সিংগাশোলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টাইস করন ও মঞ্চ নির্মাণের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। অথচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। বরাদ্দকৃত টাকার কাজ হয়েছে কি না? প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি খায়রুজ্জামান যেন আকাশ থেকে পড়লেন। এছাড়া ইউনিয়নে উক্ত প্রকল্পের আওতায় গ্রামীন সড়কের মাটির কাজে দূর্নীতি অনিয়মের সীমাহীন অভিযোগ উঠেছে।
সিংগাশোলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল মড়ল জানান, আমার বিদ্যালয়ে কোন কাজ করা হয়নি। বরাদ্দ হয়েছে কি না সে বিষয়ে ও জানি না।
এ বিষয়ে সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম হিটু বলেন, জমিতে ধানের কাজ চলছে। ধান কাটা শেষ হলে কাজ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, নাসরিন সুলতানার মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
স্থানীয় সচেতন মহল সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের বরাদ্দ কৃত সকল প্রকল্প গুলো সঠিক ভাবে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।