মুহাম্মদ সায়েস্তা মিয়া
বুক থেকে কখনো, কখনো বুক পকেট থেকে
তোমাকে ছুঁড়ে ফেলি নিরালা নির্জনে।
যাকে দেখতাম ষোঢ়শীর শাড়ীর ভাঁজে,
কখনো দেখতাম তুলতুলে আদুরীর অবয়বে।
দেখতাম কখনো খরতাপে ঝলসানো চামড়ায়,
আবার দেখতাম লেপ্টে আছো লেবুর পাতায়।
কতো দেখেছি চার চাকায় পিষ্ট হতে তোমাকে-
তুমি চিৎকার দিয়ে কাঁদতে বলতে আমাকে।
কাঁদতে কতো দিয়ে মানবতা রক্ষার চিৎকার,
যে চিৎকারে বিচার হওয়া ছিল আমার সৎকার।
কিন্তু, আমার কিছুই হলনা, হলো তোমার নাশ,
যেখানে বাস করে তুমি পাও শুধু উপহাস।
ভালোবাসা, তুমি কি জানো আমার কেমন হৃদয়,
তুমি তখন বাঁচবে তোমার হলে বোধদয়।
তুমি আর দিওনা চিৎকার কাঁদতে পারিনা বলে,
তুমি আজন্ম ভেসে থাক ভাসমান জলে।
আমি বোবা, অন্ধ, বধির হয়েছি সেই কবে,
তোমাকে চেপে রেখেছি আমরা সবে।
প্রেম নামের মেকি করি তোমার সাথে
তোমাকে ভাসিয়ে আমরা উঠেছি জাতে।
তুমি কাঁদো এখন কেউ শুনবে না তোমার কান্না
মানুষ হয়ে খেয়েছি আজ মানবতা করে রান্না।
Leave a Reply