আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে জোয়ারের পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবল জোয়ারের তোড়ে সাতক্ষীরার আশাশুনি, শ্যামনগর ও সদরের কয়েকটি বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী চেষ্টা করেও এসব বাঁধ রক্ষা করতে পারেননি। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ উপচে প্রবল বেগে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকছে।
জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে এলাকাবাসী জিও বস্তা ও মাটি দিয়ে পানি আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সাথে কাজ করে যাচ্ছেন সেচ্ছাসেবকরা।
এসব এলাকায় পানি আটকানো সম্ভব না হলে যে কোন মূহুর্ত্বে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাবে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বুধবার ভোর থেকে উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বৃদ্ধি পেতে থাকে, থেমে থেমে নামছে বৃষ্টি।
মঙ্গলবার রাতের জোয়ারে প্রভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে, কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে উপচে পড়ে। রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কেয়াখালে একটি জেলে নৌকা ডুবে গেলেও তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
উপকূলীয় মানুষের মধ্যে ঝড়ের চেয়ে জলোচ্ছ্বাসের আতংক বেশি ভর করেছে। জোয়ারের চেয়ে পানি ৩/৪ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া লঞ্জঘাটের কাছে ও শুভদ্রকাটি এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে যায়। একইভাবে শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বন্যতলা ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এছাড়া শ্যামনগরের গাবুরার নেবুবুনিয়া, নাপিতখালি, গাগড়ামারি ও জেলেখালি, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাতাখালী ও ঝাপা, বুড়িগোয়ালিনী, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা ও হরিষখালি, আশাশুনি উপজেলা সদরের বাজার ও আনুলিয়ার বিছট ও নাংলা এবং কালিগঞ্জের নাজিমগঞ্জ বাজার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।
সাতক্ষীরা সদরের সীমান্ত নদী ইছামতীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।