আজহারুল ইসলাম সাদী, জেলা প্রতিনিধিঃ অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, কুড়িয়ে পাওয়া সদ্যজাত শিশু ‘মহারাজ’ এর দত্তক পেলেন এক শিক্ষক দম্পতি।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে শিশুটিকে দত্তক পাওয়া দম্পতির হাতে তুলে দেয়া হয়।
এর আগে ১২, অক্টোবর সাতক্ষীরা শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ, শেখ মফিজুর রহমান শিশুটিকে, ওই দম্পতির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও পায় দত্তক পাওয়া দম্পতি।
তালা উপজেলার রাঢ়ীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিখা রাণী চৌধুরী ও তার স্বামী যশোরের সাগরদাঁড়ি কারিগরি ও বানিজ্য মহাবিদ্যালয়ের কমপিউটার ইঞ্জিনীয়র বরুন কুমার পাল।
আদালত এই মর্মে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, যেহেতু সদ্যজাত শিশুটিকে একটি শ্মশানের কাছে পরিত্যক্ত অবস্থায় কুড়িয়ে পাওয়া গেছে সেহেতু, শিশুটিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের বলে ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে, একটা হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে শিশুটিকে দত্তক হিসেবে প্রদানের রায় দেন।
কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে দত্তক প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান রাসেল, তার নেতৃত্বে গঠন করা হয় শিশু কল্যাণ বোর্ড।
এরপর শিশুটিকে দত্তক নিতে আবেদন করেন কয়েক শতাধিক ব্যক্তি। তার মধ্যে, ২৯ টি আবেদন পত্রের তালিকা বাছাই করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বিজ্ঞ আদালত ২৯ জন আবেদনকারীর মধ্য থেকে, যাচাই বাছাই করে, সামাজিক ধর্মীয় ও অন্যান্য দৃষ্টিকোন থেকে শিশুটির মঙ্গলার্থে উক্ত শিক্ষক দম্পতিকে দত্তক দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। শিশুটির বয়স সবে ১১ দিন।
উল্লেখ্য গত ৪ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার, গোলখালি শ্মশানের কাছে, বাজার করা ব্যাগে কয়েক ঘন্টা আগে জন্ম নেয়া শিশুটিকে, কে বা কারা রেখে যায়।
স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে শিশুটিকে প্রথমে কালিগঞ্জ, সার্জিকাল ক্লিনিক ও পরে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্থানীয়রা ফুটফুটে এই শিশুটির নাম রাখেন ‘মহারাজ’।