ডেস্কঃ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অল্প বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। দীর্ঘ সময় ধরে এ অবস্থা বিদ্যমান থাকলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। জলাবদ্ধতার ফলে চলাচলে দুর্ভোগ ও বেকায়দায় পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কেন্দ্রীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও নিচু জায়গা ভরাট করে অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণকে জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী করছেন অনেকে। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন বি, ডি, এ’র সামনে, চেতনা-৭১’র সামনের সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠেছে। এছাড়াও হ্যান্ডবল গ্রাউন্ড, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, প্রথম ছাত্রী হল রোড, শিক্ষক কোয়ার্টার রোড, শাহপরান হলের মধ্যবর্তী স্থানে গোড়ালি থেকে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠেছে। এতে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জীবন কুমার দেব বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই পানিতে প্লাবিত হয় ক্যাম্পাস। এতে অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। মূলত ক্যাম্পাসে নিচু জায়গা ভরাট হওয়া ও পানি নিষ্কাশনের পথ সরু হওয়ায় দ্রুত এ পানি চলে যেতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নয়াবাজার থেকে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ হয়ে প্রথম ছাত্রী হলের পাশ দিয়ে চেঙ্গার খাল দিয়ে ক্যাম্পাসের পানি যাওয়ার পথ রয়েছে। এ পথ সংস্কার করলে খুব দ্রুত গতিতে পানি নিরসন সম্ভব হবে। উন্নয়নকাজের ফলে নিচু জায়গা ভরাট হওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তাই উন্নয়নকাজের পাশাপাশি সমান্তরালভাবে পানি নিষ্কাশনের এ বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে জানতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেনের সাথে একাধিকবার ফোনকেল যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।