জহুরুল হক মিলু, লোহাগড়া(নড়াইল) প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ৫০ নং চর আড়িয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ,কে,এম সেলিমুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিভাবকরা জানান, প্রধান শিক্ষক এ,কে,এম সেলিমুজ্জামান শারিরিক ভাবে অসুস্থ। এবং তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন। প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারী আচরণে কারণে অনেক অভিভাবক বাধ্য হয়ে তাদের সন্তানদের অন্য স্কুলে ও মাদ্রাসায় ভর্তি করেছেন।
মোসা. স্বর্ণা বেগম বলেন, আমার ছেলে জুনায়েদকে (৭)স্কুলে ভর্তি করতে গেলে প্রধান শিক্ষক আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেন । ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী রাবেয়া (১১) এর সাথেও দুর্ব্যবহার করার কারণে গত (৪ এপ্রিল ২০১৬) সালে উক্ত ছাত্রী আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের যেকোনো বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কমিটি বা অভিভাবকদের সাথে উত্তেজনা মূলক আচরণ করেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ সরাফত আলী আলমাস জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানান অনিয়মের কারণে দিন দিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে যার কারণে অভিভাবকগণ তাদের ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয় পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করছেন এবং অভিভাবকও এলাকাবাসী তিনাকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেখতে চায় না।
স্কুলের জমি প্রদান করেছেন মৃত ইসরাফিল মোল্লা। তার ছেলে মো: আজম মোল্লার বিরুদ্ধে ও উদ্দেশ্য মূলক একটি মিথ্যা অভিযোগ লোহাগড়া থানায় দায়ের করেছেন। প্রধান শিক্ষক উক্ত বিদ্যালয়ের আসার পর থেকে বিদ্যালয়ের নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।
মো, হারুনুর রশিদ, মোজাহের মোল্লা, হেমায়েত, সাইফুল, পারভিন, মদিনা, সুলতানা, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকসহ ২৫ জন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দিযেছেন।
অনিয়মের কথা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম সেলিমুজ্জামান কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। লোহাগড়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো সাইফুজ্জামান খান জানান, ৫০ নং চর আড়িয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। তিনি আরও বলেন , প্রধান শিক্ষক শারীরিক ভাবে অসুস্থ ও কানে কম শোনেন। এব্যাপারে তাকে আমি কানের মেশিন ব্যাবহার করতে বলেছি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।