জহুরুল হক মিলু, লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধিঃ
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব।
আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপি লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের আয়োজনে আজ সকাল ১১ টার দিকে লাল ফিতা কেটে এ উৎসবের উদ্ধোধন করেন লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কারুননাহার লিনা।এসময় উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএম কামাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, প্রভাষক ইংরাজি বিভাগ আবুল বাসার সুমন, প্রভাষক বাংলা বিভাগ পিযুষ কান্তি রায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভূইয়া, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান, মানবিক সমাজকর্মী সৈয়দ খায়রুল আলম, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ হোসাইন প্রমুখ। ।
এ উৎসবকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছাস আর উদ্দীপনায় মিলনমেলায় পরিণত হয় কলেজ ক্যাম্পাস।
স্টলে স্টলে সাজানো ছিল বাহারি নকশা ও স্বাদের পিঠার পসরা। ১২টি পিঠার স্টলে বিভিন্ন পিঠা যেমন চিতই, রসচিতাই পিঠা, রুটি পিঠা, কুলি পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধকুলি, ধুপি পিঠা, রসপাকন, খড়েপাকান, ভাজা পিঠা, তকতি পিঠা, নকশা পিঠা, তারা পিঠা, পাটিসাপ্টা, জামাই পিঠা, পুলি পিঠাসহ নানা নামের পিঠার সমাবেশ ঘটে এ পিঠা উৎসবে।
১২ টি স্টলে দলে দলে বিভক্ত হয়ে ১০০ জন শিক্ষার্থী পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।
পিঠা উৎসবের আয়োজকরা বলেন, গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে তাঁদের এ উদ্যোগ। আগামীতেও এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কারুননাহার লিনা বলেন, আগের দিনে গ্রামগঞ্জে হরেক রকম পিঠা তৈরি হতো।যান্ত্রিকতার যাতাকলে অবাহমান বাঙলা থেকে পিঠার আয়োজন কিছুটা কমে গেছে। বিশেষ করে এ প্রজন্মের কাছে পিঠার আদি ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। আগামীতেও আমাদের এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে।