ডেস্ক
দক্ষিণ সুরমার বহুল প্রত্যাশিত লালাবাজার বাসিয়া ব্রীজের ভিত্তিপ্রস্তর (ইয়ান) স্হাপিত হচ্ছে গতকাল ৪ নভেম্বর শনিবার বিকেলে। ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উম্মোচনে প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসাবে উপস্হিত ছিলেন সিলেট ৩ নং সংসদীয় নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য জননেতা হাবিবুর রহমান হাবিব।
বর্তমান অনুপযোগী এই ব্রীজটি পারাবারে দীর্ঘ
কাল থেকে চরম দূর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের অধিবাসীরা। গতকাল ব্রীজটির ফলক উম্মোচন শেষে উপস্হিত সকলকে নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া পরিচালনা করছেন এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব।
দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বৎসর থেকে এ ব্রীজটি পারাবারে দূর্ভোগ ছিলো চরমসীমা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারের বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীর কাছে অত্র এলাকার লোকজন দাবী জানিয়ে আসছিলেন। হবে হচ্ছে এভাবে এ যাবৎ কাল অতিক্রম করেছে! কিন্তু
এরপরও এ অঞ্চলের মানুষেরা আশার বুক ভঙ্গ করেনি। আশার আলোতে বুক বেধেছিল।
জননেতা এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবের মাধ্যমে গতকাল প্রাথমিক একটি ধাপ সূচনা হয়েছে।
সেজন্য ব্রীজ বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে ব্রীজের ফলক উম্মোচন শেষে গতকালই বিকেলে যুগ উপযোগী ব্রীজ বাস্তবায়নে কৃতজ্ঞতা স্বরুপ জননেতা এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবকে বিশাল এক নাগরিক সংবর্ধণা রজনীগন্ধা ফুলের বহর দিয়ে প্রদান করেছে।
এবং তাঁর আগমনে ব্রীজের ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন ফলক উম্মোচন স্হানে প্রবেশের মুর্হুতে ফুল দিয়ে তাঁকে ব্রীজ বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।
এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবকে ব্রীজ বাস্তবায়নে নাগরিক সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা, দক্ষিণ সুরমা ও বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বিশ্বনাথ এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন উপস্হিত ছিলেন।
এখানে একটি কথা সচেতন লোকজন থেকে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর সেটি হচ্ছে লালাবাজার বাসিয়া নদীর পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের লালাবাজার তথা সিলেটের সাথে যোগাযোগে বাসিয়া নদী পারাবারে চরম দূর্ভোগ দীর্ঘ কালের।
তারা বলেন, গুণীজনকে সম্মান না করলে নিজে এবং নিজেরা সম্মানি হওয়া যায়না। এ দূর্ভোগ লাগবের জন্য কত যে মানুষ যুগে যুগে প্রচেষ্ঠা ও চিন্তা ভাবনা করে আসছিলেন। আজ অনেকেই এই পূথিবীতে তারা নেই। আজকের নাগরিক অনুষ্ঠানে অতীতের প্রচেষ্ঠারত সকল ব্যক্তিবর্গকে স্বরণ করা উচিত ছিলো বলে তারা মনে করেন।
এ ব্রীজের জন্য প্রচেষ্ঠা করেছিলেন ১৯৭০ সাল
থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত মহান মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণী ওসমানী, সাবেক এমপি মরহুম আ্যডভোকেট নূরুল ইসলাম খাঁন সহ তৎ সময়ের লালাবাজার বাসিয়া পশ্চিম পাড়ের একাধিক গ্রামের একাধিক লোকজন।
এরপর ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান, সাবেক এমপি মরহুম খন্দকার আব্দুল মালিক, ১৯৭৭ সালের ব্রীজ কমিটি এবং কমিটির সাথে সংলিস্ট ব্যক্তিবর্গ ও তৎসময়ের লালাবাজার বাসিয়া নদীর পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ের উল্লেখিত অধিবাসীদের সার্বিক সর্মথন পুষ্টুদের প্রতি স্বরণ ও কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত ছিলো বলে তারা জানান।
১৯৯৯ সালে তৎকালীণ বাংলাদেশ সরকারের পরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদও কথা দিয়েছিলেন এবং ১৯৯৯ সালের ব্রীজ দাবী আদায়ে আব্দুস সামাদ আজাদকে লালাবাজারে সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের আয়োজনের সাথে সংলিস্ট সকল মৃত ও জীবিত ব্যক্তিবর্গকে শ্রদ্ধা জানানো।
পরবর্তীতে নতুন ব্রীজের দাবী আদায়ে জন্য ২০০৩ সালে গঠিত ব্রীজ বাস্তবায়ন কমিটি সাথে সংলিস্ট ব্যক্তিবর্গ এবং এ কমিটিকে সমর্থন পুষ্টু তাদের সকলের প্রতি স্বরণ ও শ্রদ্ধা জানানো উচিত ছিলো বলে ওই সচেতন ব্যক্তিবর্গ মনে করেন।
এলাকার অনেকে জানান, ব্রীজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন ও ফলক উম্মোচন হয়েছে তাতে আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি। কিন্তুু কোনো কারণে যাথে ব্রীজটি পরোপুরি বাস্তবায়ন হতে বাধা না হয় সেদিকে তারা দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন।
কিছু কিছু লোকজন দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন রাসেলের বক্তব্যে তারা নাখোশ হয়েছেন।