রাকিব হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা শালবনে নিয়ে গিয়ে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের শালবন এলাকায় এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানান, ওই উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার এক কলেজছাত্রীর সাথে দইখাওয়া বাজারের কসমেটিক ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর ছাত্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুর সাত্তার। আব্দুস সাত্তার ঐদিন গোপনে বন্ধুকে দিয়ে সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে। সেই ভিডিও দিয়ে ভয় দেখিয়ে আব্দুর সাত্তার ও তার এক বন্ধু ওই কলেজছাত্রীকে আবারও ধর্ষণ করে। এর পর গত বৃহস্পতিবার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে নওদাবাস ইউনিয়নের শালবনে নিয়ে যায়। সেখানেও আব্দুর ছাত্তার ও তার বন্ধুরা পালক্রমে ওই কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন এবং সেই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। এ সময় ওই ছাত্রী অসুস্থ হলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় দক্ষিণ গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর ছাত্তার (৩২), দইখাওয়া বাজার এলাকার সুলতান আহম্মেদের ছেলে রোকন (৩০), ৫ নং ওয়ার্ডের আইয়ব আলীর ছেলে রাকিবুল (১৯), একই এলাকার খবির আলীর ছেলে আল আমিন (১৯), নজিমুদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া সাবু (২৮), নওদাবাস এলাকার ওছমান গনির ছেলে সুলতানকে (৪০) শনিবার সকালে গ্রেফতার করেন হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন-নবী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের পাশাপাশি ওই কলেজছাত্রীকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।