রাকিব হোসেন ,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর হলরুমে ২২ আগস্ট রোববার সকাল ১১ টায় দু’গ্রুপ সভা আহবান করায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় উভয়ের আবেদন বাতিল করে হলরুমে সভা আহবান থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ শনিবার বুড়িমারী স্থলবন্দর ট্রাফিক পরিচালক সালাউদ্দিন ও সহকারী পরিচালক মুহা:রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত জারী করা এক পত্রের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুড়িমারী বন্দরে চলতি মাসে বন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনের পর এক পক্ষের অভিষেক অনুষ্ঠানও হয়েছে।
এদিকে, বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানী ও রপ্তানীকারক বাণিজ্য গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক যুবলীগের কেন্দ্রিয় প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন ২২ আগস্ট সকাল ১১ টার সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের হলরুম ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে গত ১৪ তারিখ আবেদন করেন। একই তারিখে
একই সময় একই স্থানে সভা করার জন্য ১৯ আগস্ট আবেদন করেন সম্প্রতি গঠিত বুড়িমারী বন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মাননীয় এমপি মোতাহার হোসেনের পুত্র মাহমুদুল হাসান সোহাগ।
এরপর চরম বিপাকে পড়েন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
উভয় পক্ষের সভা একই তারিখে একই সময় একই স্থানে আহবান করার কারণে মারামারি কিংবা গোন্ডগোল হতে পারে এমন আশঙ্কায় সরকারি নির্দেশে বন্দর কর্তৃপক্ষ হলরুম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন বলে জানিয়েছেন বন্দর ট্রাফিক পরিচালক সালাউদ্দিন ও সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন। বন্দর হলরুম ব্যতীত অন্য কোথাও সভা করলে তাতে বাঁধা নেই বলে জানা গেছে।
আগামীকাল আহবানকৃত সভা যথা সময়ে উভয় পক্ষ করবেন কি’না তা জানা যায়নি। উভয় গ্রুপের ব্যাবসায়ী নেতারা বলছেন, সভা হলে পত্রের মাধ্যমে জানানো হবে।
বুড়িমারী বন্দরে সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন একাধিক কমিটি বহাল থাকায় যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে দাঙ্গা হাঙ্গামাসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এমন আশঙ্কা করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীবৃন্দ। এমতাবস্থায় গ্রুপিং দ্বন্দ্ব নিরসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাননীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনসহ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতনমহল।
উত্তরবঙ্গের তৃতীয় রাজস্ব অর্জনকারী স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত বুড়িমারী পাথর ব্যবসার জন্য বিখ্যাত।