রাকিব হোসেন , লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের উফারমারা (গুড়িয়াটারী) এলাকায় সাউন্ডবক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন ৫জন । এলাকাবাসীরা আহতদের উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এতে চিকিৎসার অবনতি হলে একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গুরুতর আহত ব্যক্তির অবস্থার অবনতি হলে সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানিয়েছেন বুড়িমারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ হাসানুজ্জামান হাসান জানান।
গত ০৯/০৭/২০২১ তারিখে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের গুড়িয়াটারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় এ ঘটনায় আহত মোছাঃ লাকি বেগম (৩০) ৯ জুলাই রোজ শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার দিকে আমার দুই বছরের ছোট ছেলে বাড়িতে সাউন্ডবক্স বাজাতে বাজাতে বাড়ির রাস্তায় চলে যায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশী ১। মোঃ মতিউর রহমান (৪২), ২। মোঃ আতাউর রহমান (৩৮), ৩। মোঃ নুরুজ্জামান (৫০) সকলের পিতা মৃতঃ কফিল উদ্দিন, ৪। মোঃ সাফিউল ইসলাম (২০), ৫। মোঃ নুর হোসেন (২৮) উভয়ের পিতা মোঃ মতিউর রহমান, ৬। মোঃ রায়হান (২০), পিতা মোঃ আতাউর রহমান,৭। মাসুদ রানা (২৪) পিতা মোঃ নুরুজ্জামান, ৮। মোঃ আবু বক্কর (১৯) পিতা মোঃ আতাউর রহমান,৯। মোছাঃ মোতাহারা বেগম (৩৫), স্বামী মোঃ নুরুজ্জামান সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন লাঠি,ছোড়া, লোহার রড,ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে, আমার বড় ছেলে জেহাদী ,ভাই সফিকুল ইসলাম, জোলেখা বেগম,রশিদা বেগমকে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম করে। আমাকে মারধরের ঘটনা দেখে বড়ছেলে জেহাদী আগাইয়া এলে আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে বিবাদী সাফিউল ইসলামের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় এতে জেহাদী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এবং আমার ভাই সফিকুল ইসলাম আমাদেরকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে বিবাদী মতিউর রহমান ও আতাউর রহমানদ্বয়ের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এই দৃশ্য দেখে রশিদা এবং জোলেখা বেগম এগিয়ে আসলে তাদের কেও বেধরম মারধর করে।
এসময় বিবাদী সাফিউল ইসলাম লাকি বেগমের শয়ন ঘরে প্রবেশ করে স্টিলের ট্র্যাংকের তালা ভেঙে নগদ ৬০,০০০/- টাকা এবং ১ জোড়া স্বর্ণের তৈরি হাতের চুরি যাহার মূল্য অনুমান ২০,০০০/- টাকা চুরি করে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও হতাহতের সময় সফিকুল ইসলামের প্যান্টের পিছন পকেট থেকে মানিব্যাগে থাকা ২০,০০০/ টাকা- সহ দরকারি কাগজ পত্র নিয়ে নেয় । এছাড়াও রশিদা এবং জোলেখা বেগমকে মারধরের সময় নাক ফুল এবং কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে বিবাদী সাফিউল ইসলামের সাথে কথা বলে ঘটনাটি পুরোপুরি মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে জানান তিনি। তিনি বলেন আমি এবং আমার পরিবারকে ফাঁসাতে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের কয়েছে লাকি বেগম ।
ভুক্তভোগী লাকি বেগমের পরিবার জানায় , গত শুক্রবার থেকে বুড়িমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত রহমান”কে বার বার মুঠোফোনে ফোন করলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে ফোন কেটে দিয়েছেন এবং সব সময় তার ফোন বন্ধ এবং ব্যস্ত পাওয়া গেছে। সর্বশেষ আজ ১২ জুন সোমবার দুপুরে আমার ভাই ফোন করলে চেয়ারম্যান সাহেব জানান আমি একখানে দাওয়াত খেতে এসেছি একটু পর আপনাকে ফোন দিচ্ছি এরপর লাকি বেগমের পরিবার চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে বুড়িমারী ইউনিয়নের ৮ নং ইউপি সদস্য মোঃ হাসানুজ্জামান হাসান জানান , উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত , এবং ঘটনার পর থেকেই আহত লাকি এবং তার পরিবারের খোঁজ খবর রাখছি , আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সঠিক সমাধান হবে বলে আমি আশাবাদী।
এ ঘটনার বিষয়ে বুড়িমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত রহমানের সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উমর ফারুক জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে ।