রাকিব হোসেন,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান কর্তৃক টাস্কফোর্সের মাধ্যমে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সহযোগিতায় ২৩টি ভারতীয় মহিষ ও ৩টি হরিয়ানা গরু আটক করা হয়েছে।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের মহিমপাড়া পশ্চিম বাড়ির ধান ক্ষেত থেকে এ সকল অবৈধ ভারতীয় মহিষ ও গরু আটক করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের পর পরেই একইদিন সকাল ৮টা ৪৫মিনিটে মহিম পাড়া জামালের ঘাটের পাশে ষোলটি (১৬) ভারতীয় মহিষ ও চারটি (৪) ভারতীয় হরিয়ানা গরু আটক করে পানবাড়ি ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
অভিযান পরিচালনা করেন, পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার মো. জাহাবুল ইসলাম ও দহগ্রাম বিওপি কমান্ডার রতিশ। একই দিনে ৩৯টি ভারতীয় মহিষ ও সাতটি ভারতীয় হরিয়ানা গরু আটক হওয়ায় এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এলাকাবাসী জানায়, অবৈধ এই গরুর সিন্ডিকেট দহগ্রামে গড়ে তুলেছে কিছু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
সাধারণ মানুষ এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, এদের কারণে দহগ্রামের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে জানান অনেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন,একজন স্থানীয় প্রতিনিধি তিনি নিজেকে দহগ্রাম পুলিশের সোর্সম্যান পরিচিয় দিয়ে ভারতীয় গরু সহ সব কিছুর জন্য চোরাকারবারীদের কাছে টাকা উত্তোলন করে।
একজন ব্যক্তি আছেন যিনি দহগ্রামের একজন জনপ্রতিনিধির টাকা উত্তলন করেন চোরাকারবারিদের কাছ থেকে।
দহগ্রামের সুধীজনের বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, দহগ্রামে চোরাচালান বন্ধ হবে কেমনে, যেখানে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের ব্লাকারদের কাছ থেকে টাকা উত্তলন করার জন্য মানুষ নিয়োগ করা হয় সেখানে এটা বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে হয় না,
৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহাবুল ইসলাম বলেন,এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহিষ এবং গরু আটক করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।