1. admin@asianexpress24.com : admin :
  2. asianexpress2420@gmail.com : shaista Miah : shaista Miah
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
লোহাগড়া কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ফুলবাড়ীতে ওলামা দলের কর্মী সভা দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ নরসিংদীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিএনপি নেতাকর্মীদের স্মরণে স্মরণসভা ও ইফতার মাহফিল কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল ঢাকায় পাটগ্রামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু লোহাগড়ায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা লোহাগড়ায় বিনামুল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্ধোধন এনআইডি পরিষেবা নির্বাচন কমিশনে রাখতে কোম্পানীগঞ্জে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী সেই শিশুটি মারা গেছে কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথে ৬ বছরের শিশু ধর্ষ*ণের শিকার, অভিযুক্ত আটক বিশ্বনাথে মোবাইলকোর্টের অভিযানে জরিমানা আদায়

রায়হান হত্যার জট খুলতে পারে এ সপ্তাহে: এসএমপিতে নতুন কমিশনার আসছেন আজ

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৯২ Time View

এশিয়ান এক্সপ্রেস ডেস্ক:  রায়হান হত্যাকান্ডের রহস্যের জট খুলতে পারে চলতি সপ্তাহে। নতুন কমিশনার নিশারুল আরিফের দায়িত্ব গ্রহণের পর আসতে পারে ‘চমক’। এমনকি পালিয়ে থাকা এসআই আকবরও আসতে পারে আইনের আওতায়। এমনটাই দাবি করেছে, পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র। পুলিশের ওই সূত্র দাবি করছে, আকবরকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে সুফল পেতেও পারে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ‘রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামী শনাক্ত’-এমন বক্তব্যের পর রায়হান হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরাও এমনটাই মনে করছেন।
পুলিশি হেফাজতে রায়হান হত্যাকান্ডের ঘটনায় সিলেট এখনো উত্তাল। এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্ত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুইয়ার পলায়ন নানাভাবে বেকায়দায় ফেলেছে পুলিশ বিভাগকে। একমাত্র আকবর ছাড়া পুলিশি হেফাজতে থাকা বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত সাময়িক বরখাস্ত ও তদন্তে সংশ্লিষ্টতা থাকা পুলিশ সদস্যদের একে একে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। তবুও সন্তুষ্ট নয় রায়হানের পরিবার।
অভিযুক্ত সকল পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার না করার আগ পর্যন্ত মাঠে রয়েছেন নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম। গত রোববার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে কাফনের কাপড় মাথায় দিয়ে আমরণ অনশণের ডাক দিয়ে দিনভর ইলেকট্রন্কি মিডিয়ায় স্ক্রল ছাড়াও দেশীয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে ছিলেন তিনি। প্রতিদিনই মিছিল-মিটিং হচ্ছে আকবরের গ্রেফতারের দাবিতে। গতকাল সোমবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের কারণে কর্মসূচি না থাকলেও মঙ্গলবার থেকে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবেন রায়হানের এলাকাবাসী ও স্বজনেরা। রোববার অনশন কর্মসূচি চলাকালে এমনটাই জানিয়েছিলেন রায়হানের মা ও স্বজনরা।
রায়হানের মা সালমা বেগম তখন বলেন, ‘আমার বুকের ধন একমাত্র ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে এই ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই আকবর ও তার সহযোগীরা। বর্বরোচিতভাবে নির্যাতন করে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তারা। আমি এ হত্যাকারীদের বিচার চাই। আর না হয়, আমার ছেলেকে মেরেছে, আমাকেও গুলি করে মারা হোক।’
অপরদিকে মো. রায়হান আহমদকে (৩৪) নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রোববার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য টিটু চন্দ্র দাসকে হাজির করা হয়। তবে আদালতে আসার পর তিনি জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তাকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হয়। এ পর্যন্ত দুজন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টিটু ছাড়াও আরেক আসামি হারুনকে শনিবার রাতে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে রায়হানকে আটকের আগে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী শেখ সাইদুর রহমানকে। এক সময় তাকেও ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে।
রায়হানের মৃত্যু পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পুলিশ বাহিনীকে ফেলেছে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন। তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও আলোচিত হচ্ছে। দ্রুততম সময়ে তাকে গ্রেফতার করতে না পারায় নিহত রায়হানের মা সালমা বেগমও আমরণ অনশনের মতো কর্মসূচি দেন।
জানা গেছে, ঘটনার পরদিন ১১ অক্টোবর সোমবার বিকেল পর্যন্ত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতেই অবস্থান করছিলেন এসআই আকবর। অভিযোগ রয়েছে, তখন ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানকে হত্যার আলামত পরিষ্কার হয়ে উঠলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন একেবারেই গা ছাড়া। এই সুযোগে ছিটকে পড়ে আকবর হোসেন ভুইয়া। অবশ্য, যাওয়ার আগে আকবর তার নিজের কাছে থাকা অস্ত্র, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট এবং সরকারি সেট দুটোই ফাঁড়িতে রেখে যান। সেই থেকে পলাতক আকবর। তাকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে একই ফাঁড়ির এসআই হাসান উদ্দিনকে। তাকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হতে পারে।
এছাড়া, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পালিয়ে গেলেও অভিযুক্ত অন্য সদস্য পুলিশ লাইন্সেই রয়েছেন। এএসআই আশেক এলাহি, কুতুব উদ্দিন, তৌহিদ মিয়া ও সজিব এখন পুলিশ লাইন্সে বিশেষ নজরদারিতে রয়েছেন। যে কোন সময়ে তাদেরও গ্রেফতার দেখানো হতে পারে।
অন্যদিকে, পুলিশ থেকে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ে হস্তান্তর হলে সুষ্ঠু তদন্তের ব্যাপারে আশ্বস্ত হয় নিহত রায়হানের পরিবার। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তারাও নিয়মিত তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। প্রতিদিন কোন না কোন কার্যক্রম দেখিয়ে চলছেন। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পরই পিবিআই রায়হানের লাশ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত করে। নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফাঁড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও গায়েব, তথ্য গোপন করাসহ এসআই আকবরকে পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে ২১ অক্টোবর ফাঁড়ির ‘টু-আইসি’ পদে থাকা এসআই হাসান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
নিহত রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহ জানান, পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা নিয়মিত তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। আসামীদের পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার দেখানোর ব্যাপারে আশ্বস্ত করছেন।
অপরদিকে, পুলিশি হেফাজতে রায়হান হত্যাকান্ড ও এসআই আকবরের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার জেরে বদলি হওয়া এসএমপি কমিশনার গোলাম কিবরিয়া রোববার সিলেট ছেড়ে গেছেন। আজ সন্ধ্যার ফ্লাইটে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার নিশারুল আরিফ সিলেট আসছেন বলে জানিয়েছেন এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের। সিলেটের মানুষের ধারণা, সিলেটে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতে এবং থানায় গড়ে উঠা সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে নানা পদক্ষেপ নেবেন নতুন কমিশনার। নতুন কমিশনারের যোগদানের পর পালিয়ে যাওয়া এসআই আকবরের বিরুদ্ধে পরবর্তী করণীয় নির্দেশনাও আসতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর দিবাগত রাত তিনটার দিকে রায়হানকে কতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে রায়হান মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার পরদিন হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। মামলায় আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন সহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে। আকবর ১৩ অক্টোবর থেকে পলাতক আছেন।
রায়হান নগরীর একটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে চাকুরি করতেন। তিনি স্ত্রী, আড়াই মাস বয়সী এক মেয়ে ও মাসহ আখালিয়ার নেহারিপাড়ায় বসবাস করতেন। পুলিশ হেফাজতে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় ‘বৃহত্তর আখালিয়া সংগ্রাম পরিষদ’ নামে এলাকাবাসীর সম্মিলিত মোর্চা প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে তৎপর। এসআই আকবরসহ জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন চলছে। সূত্র :সি ডা/

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews