জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম:- কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বুশরা ডাচ্ বাংলা ব্যাংকিং এজেন্সির ম্যানেজার মোসলেম উদ্দিনের রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার বিকেল ৬টায় উপজেলার সিংগারডাবড়ী হাট বাজারে বুশরা এজেন্ট ব্যাংকিং এজেন্সির ম্যানেজার মোসলেম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করেন পার্শবর্তী এক ওয়াল্টন কর্মী। মোসলেম উদ্দিন পার্শবর্তী জেলা লালমনির হাটের পঞ্চগ্রাম ইউপির কৃষ্ণকান্ত গ্রামের আব্দুল ওহাব আলীর পুত্র।
মোসলেম উদ্দিনের অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অপরদিকে মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বেশ হতাশ হয়ে পড়েন বিভিন্ন এজেন্ট ব্যাংকিং ও বিকাশ ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পাওনাদার ভুক্তভোগীরা।
রাত ৮টায় বুশরা ও এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটির মালিক সেকেন্দার আলী বাবলু ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে বসে তদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় মোসলেম উদ্দিনের মুটোফোন বন্ধ থাকায় পার্শবর্তী ওয়াল্টনের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম বিশেষ প্রয়োজনে তাকে খুঁজতে থাকেন।
রফিকুল ইসলাম জানান, আমি মাঠের কালেকশন শেষে দুপুরে অফিসে এসে জানতে পারি মোসলেমকে পাওয়া যাচ্ছেনা। পরে আমরা কয়েকজন মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করি এবং এক পর্যায়ে বুশরা ব্যাংকিং এজেন্সির স্টোর রুমে মোসলেম উদ্দিনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। স্থানীয় আরও অনেকের সাহায্য নিয়ে মোসলেম উদ্দিন কে রাজারহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণ করেন।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আশাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার এক থেকে দেড়ঘন্টা পূর্বে তার মৃত্যু হয়। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে স্টোক করার কারনেই মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুশরা এজেন্ট ও ওয়াল্টন শো রুমের মালিক সেকেন্দার আলী বাবলুকে একাধিকবার মুটোফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুনেছি মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যু স্টোক করার কারনে হয়েছে। তবে তার পরিবার থেকে থানায় কেউ কোন ধরনের অভিযোগ করেননি।