মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরের সোহাগ ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ৮ মাস বছর বয়সী শিশু সন্তানের জননী রুমি বেগম (৩৫) গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে অস্বাভাবিক এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধু চর রাজাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন মৃধার স্ত্রী। তার দুই শিশু সন্তান রয়েছে, এক শিশুর বয়স ৪ বছর এবং অপর নবজাতক শিশুর বয়স ৮ মাস। নিহতের স্বজনরা জানান, ওই গৃহবধূর শরীর দুর্বল থাকায় সোমবার (২১ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে চিকিৎসার জন্য সোহাগ ক্লিনিকের চিকিৎসক মো. মহিউদ্দিনের কাছে যান। আইভি স্যালাইন এমিসল পুশ করলে আরও ক্লান্ত হয়ে পরে। এরপর ক্লিনিকের লোকজন ও স্বজনরা ১২ টা ৫০ মিনিটে তাকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, সুস্থ অবস্থায় ক্লিনিকে গেছে হয়তো ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে, নইলে মারা যাবে কেন। যেহেতু নারী তাই ময়নাতদন্ত ও আইনী ঝামেলায় জড়াতে চাই না এজন্য মৃত্যু নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। রাজাপুরের সোহাগ ক্লিনিকের পরিচালক আহসান হাবিব সোহাগ ও চিকিৎসক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ওই রোগীর জ্বর ছিল, তবে ডেঙ্গু হয়নি। এজন্য ৭ দিন পূর্বে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসাপত্র নিয়েছিলো। সোমবার শরীর দুর্বল অবস্থায় আসলে ৭ দিন পূর্বের দেয়া চিকিৎসাপত্র অনুযায়ী তার শরীরে ভিটামিন আইভি স্যালাইন এমিস দেই কিন্তু নার্সরা কখন পুশ করেছে তা জানায়নি। কিন্তু পুশ করার পর রোগী বেশি দুর্বল হয়ে বেশি ঘাম দিলে তাকে সরাসরি শেবাচিমে প্রেরণের জন্য বলা হয়। এরপর কি হয়েছে বলতে পারবো না। হয়তো স্বজনরা নিতে বিলম্ব করায় স্ট্রোক করে মারা যেতে পারে। রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেকের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রুবাইয়াত শারমিন বলেন, ১২ টা ৫০ মিনিটে নারীকে নিয়ে আসা হয় মৃত অবস্থায়। তাকে নিয়ে আসার অনেক আগেই মারা গেছেন, মৃত্যুর কারন বা কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা নেই। রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ওই গৃহবধূর বাড়িতে এবং ক্লিনিকে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো কিন্তু স্বজনদের মৃত্যু নিয়ে কোন অভিযান নেই। ঝালকাঠির সির্ভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।