মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে শেরে বাংলা একে ফজুললু হক প্রতিষ্ঠিত সাতুরিয়া রুন্নেছা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারি শিক্ষক মো. শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীর শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের দোয়া পরিচালনা না করে কাউকে কিছু না জানিয়ে মোবাইল বন্ধ রেখে যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর নামাজে জানাজায় অংশ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গত ২০ আগষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ৭ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য শোকজ দিয়েছেন। এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগে জানা গেছে,
সাতুরিয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ
শফিকুর রহমান উপজেলা ও শুক্তাগড় ইউনিয়নের সক্রিয় শিবির নেতা। যে কারনে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীর শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের দোয়া পরিচালনা না করে কাউকে কিছু না জানিয়ে মোবাইল বন্ধ রেখে যুদ্ধাপরাধী মামলায়
সাজাপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর নামাজে জানাজায় অংশ নিয়েছেন। ফলে স্কুলের দোয়া অনুষ্ঠান সঠিকভাবে হয়নি, অন্য একজনকে দিয়ে দায়সাড়াভাবে দোয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক মো. শফিকুর রহমান সক্রিয় শিবির নেতার বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি করেন, সকালে পিরোজপুরে গিয়েছিলাম, সাঈদীর জানাজায় অংশ নেননি। তাছাড়া মোবাইল হারিয়ে যাওয়ায় কারও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। শারীরিকভাবে অসুস্থতার জন্য সকালে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ায় স্কুলে যেতে পারিনি, সকালে এ বিষয়টি ফোন দিয়ে প্রধান শিক্ষককে জানাতে চাইলে তাকে ফোনে পাইনি, তার ফোন তার স্বামী ধরেছে।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক রিনা বেগম বলেন, কাউকে কিছু না জানিয়ে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীর শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। অনুষ্ঠানে তার দোয়া পরিচালনা করার কথা ছিল। তিনি শোক সভায় অংশ তো নেননি এমনকি মোবাইলও বন্ধ করে রেখেছেন। প্রধান শিক্ষক
আরও জানান, এ ঘটনায় তাকে লিখিতভাবে শোকজ করে চিঠি দেয়া হয়েছে।
পেটে ব্যাথাা ও ডায়রিয়া হয়েছিলো এ কারনে স্কুলে আসতে পারেনি দাবি করে ২২ আগস্ট
শোকজের জবাব দিয়েছেন অভিযুক্ত । বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা আলম জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।