মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে বিনামুল্যে চাল দিচ্ছেন সরকার। ঐ চাল বিতরনের আগে জাল শ্লিপ বানিয়ে নিজের লোকদেরকে দিয়েছেন একজন নারী জনপ্রতিনিধি।
এ অভিযোগ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ৪ নং গালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মরিয়ম বেগমের বিরুদ্ধে। জাল স্লিপের কারনে চাল বিতরণের দিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং চালে সংকট দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং চাল বিতরণে দায়িত্বরতরা জাল স্লিপগুলো সনাক্ত করেছেন। নকল ঐ স্লিপগুলোতে ইউপি চেয়ারম্যানের জাল স্বাক্ষর ও সীল বসিয়ে বিভিন্ন লোকজনের মাঝে বিতরণ করেছেন ইউপি সদস্য মরিয়ম বেগম।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পাঁচ সদস্য’র একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া পারভেজ।
ইউনিয়ন পরিষদ এবং স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত (১৮ জুন) রোববার গালুয়া ইউনিয়নের মোট ১৭৭৮ জনের মাঝে জনপ্রতি ১০ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণের শেষের দিকে প্রায় ২৫ টি জাল স্লিপ ধরা পরে।
ইতিমধ্যে, স্লিপ জাল করার কারন জানতে চেয়ে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে ইউপি সদস্য মরিয়ম বেগমকে নোটিশ প্রদান করা হয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মরিয়ম বেগম বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারাই হয়তো আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার স্লিপের মধ্যে জাল স্লিপ মিশিয়ে দিয়েছে। কোনটা আসল আর কোনটা জাল তা আমিও চিনিনা।
গালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া পারভেজ বলেন , এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঈদুল আযহার পরে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়ে ইউপি সদস্য মরিয়মের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।