মোঃ নাঈম হাসান ঈমন ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর থানার বড় কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত,আঃ জব্বার মুন্সীর পুত্র মোঃ নাছির উদ্দিন মুন্সীর সাথে পরিচয় হয় একই গ্রামের খাদিজা বেগমের সহিত। গত ৩০ শে ডিসেম্ভর ২০১৯ তারিখে খাদিজাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। পরবর্তীতে খাদিজাকে ঢাকায় চাকুরি দেয়ার কথা বলে একটি মশার কয়েল কারখানায় চাকুরি দেয় এবং খাদিজার সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষন করে।
নাছিরের সহিত পার্শ্ববর্তী জনৈক মাহাবুব ফরাজীর সহিত জমিজমা নিয়া বিরোধ থাকায় খাদিজাকে বাধ্য করে খাদিজার সহিত মাহাবুব ফরাজীর সহিত বিবাহের একটি ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে ঢাকার বিজ্ঞ আদালতে খাদিজাকে বাদী করে একটি মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার খবর জানতে পেরে মাহাবুব ফরাজী আদালত হইতে জামিন লাভ পরবর্তী অব্যাহতি পান।পরবর্তীতে মাহাবুব ফরাজী তার নামে জাল জালিয়াতী করে মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করার বিষয়ে ঝালকাঠীর রাজাপুর বিজ্ঞ আদালতে খাদিজা ও নাছির গংদের নামে মামলা করেন এবং নাছির গ্রেফতার হন। ইতিমধ্যে খাদিজা গত ১৬ ই জুলাই প্রেগনেন্সী টেষ্টে ২৩ সপ্তাহ ৪ দিনের গর্ভবতি ধরা পরে ও গত ৩০ শে অক্টোবর একটি পুত্র সন্তান প্রসব করলে নাম রাখা হয় নাজমুল। ৩০ শে ডিসেম্ভর নাজমুলকে ডাঃ দেখানোর কথা বলে ফাতেমা বেগম, মজিবর, রুস্তুম নাজমুলকে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষনের আলামত নষ্ট করার চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের বিষয়টি জানিয়ে গত ৭ ই জানুয়ারি ঝালকাঠী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিজ্ঞ বিচারক মোঃশহিদুল্লাহ’র আদালতে নাঃশিঃনিঃদঃআইন ২০০০ এর ৯(১)/৭/৩০ ধারায় নালিশি আকারে মামলা দায়ের করিলে বিজ্ঞ বিচারক এজাহারের আদেশ দেন। ইতিমধ্যে মাহাবুব ফরাজীর দায়ের করা মামলায় খাদিজা আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে জামিন না মন্জুর হওয়ায় জেল হাজতে যান।
এদিকে অপহরন হওয়া নাজমুলকে রাজাপুর থানা পুলিশ নলছিটি পুলিশের সহায়তায় ফাতেমা বেগমের নলছিটি বাড়ি হইতে উদ্ধার পূর্বক ফাতেমাকে গ্রেফতার করেন চৌকস তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আঃআউয়াল। গ্রেফতার পরবর্তী বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করিলে খাদিজার মা শিশু সন্তানটিকে তার জিম্মার আবেদন করিলে বিজ্ঞ বিচারক মোঃশহিদুল্লাহ খাদিজার উপস্থিতে অপহরন হওয়া নাজমুলকে তার মা খাদিজার হেফাজতে দেয়ার আদেশ প্রদান করেন।